আইএসএল-এর সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। প্লে অফে নিজেদের ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি'কে হারিয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুশি নন কোচ জুয়ান। বিশাল কাইথ'কে চিন্তিত মোহনবাগান কোচ।
শনিবার ওড়িশা'কে ২-০ গোলে হারিয়েছে এটিকেএমবি। প্রথমার্ধে হুগো বুমোস গোলমুখ খোলেন। দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশাল কাইথ চোট পাওয়ায় চিন্তায় রয়েছে গোটা দল । সেই কারণে জয়ের আনন্দ ফিকে হয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরে। ওড়িশা'কে হারানোর পর জুয়ান বলেছেন, "দলের এই জয়ে আমি পুরোপুরি খুশি নই। বিশাল হাসপাতালে রয়েছে। আশিকের চোটটাও গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে জয়ের আনন্দ করা কঠিন। দলের ছেলেদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত। বিশালের কী হয়েছে আমি বুঝতে পারছি, আমি ওর কাছাকাছি ছিলাম। ওকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওই সময় ওর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। হাসপাতালে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আমাদের কয়েকজন স্টাফ ওখানে আছে। তাদের সঙ্গে কথা হলে বুঝতে পারব ও ঠিক কেমন আছে এখন।" এই দিন ম্যাচের ৬১ মিনিটের মাথায় মরিসিও'কে হেড দেওয়া থেকে আটকাতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে বিশালের। মাটিতে পড়েই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন গোলরক্ষক। তড়িঘড়ি করে ফিজিওদের ডাকা হয়। এম্বুলেন্সও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান ফেরে তাঁর। এরপর বিশাল খেলতে চান কিন্তু অধিনায়ক প্রীতমের সঙ্গে কথা মেনে বেঞ্চে বসেন তিনি।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে আসতে চাইছিলেন না জুয়ান। বিশাল কাইথের জন্য দুশ্চিন্তায় ছিলেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ। যদিও পরে হতাশা নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। জুয়ান বলেছেন, "এই মুহূর্তে জেতা, হারা বা সেমিফাইনালে ওঠা কোনও কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফুটবল নিয়ে কথা বলার ইচ্ছাও নেই। দলের ছেলেদের সঙ্গে গত ছ'মাস ধরে রয়েছি। ওরা এখন আমার পরিবারের সদস্যদের মতোই হয়ে গিয়েছে। ওদের কিছু হলে আমি নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারি না। বিশাল যখন হাসপাতাল থেকে বেরোবে, সব কিছু ঠিক থাকলে, এরপর আমরা এই জয় নিয়ে আনন্দ করতে পারব।"