ডার্বির জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে কেরল ব্লাস্টার্স এফসি'কে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্লে-অফে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে ফেলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে জোড়া গোল করেন কার্ল ম্যাকহিউ।
১৬ মিনিটে দুর্ধর্ষ ফুটবলের নমুনা রেখে কেরলকে এগিয়ে দেন দিমান্তাকোস দিমিত্রিয়স। ইউক্রেনের ইভান কালিউঝিনির মনে রাখার মতো পাস ধরে অস্ট্রেলিয়ান আপোসতোলোস জিয়ানুর পাস থেকে বাম পায়ের অসাধারণ শটে কেরল ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন দিমিত্রিয়স। তিন টাচে এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্সকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় কেরল।
তবে, ডিফেন্সের ব্যর্থতায় সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি কেরল ব্লাস্টার্স। ২৩ মিনিটে দিমিত্রিয়স পেত্রাতোসের ফ্রি-কক হেডে কার্ল ম্যাকহিউ সমতায় ফেরান এটিকে মোহনবাগানকে। তবে, এই গোল পাওয়ার অনেক আগেই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল সবুজ-মেরুনের। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার ভাল সুযোগ হাতছাড়া করে এটিকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধে বলার মতো আর কোনও সুযোগ পায়নি দুই দল। ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সবুজ-মেরুনের কাছে এসে গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় ৫০ মিনিটে কেরলের ডিফেন্ডারকে মাটি ধরিয়ে দিমিত্রিয়সের ক্রস হেড করেন মনবীর সিং কিন্তু তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এটিকে মোহনবাগানের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করার ফল হাতে নাতে পেয়ে গিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। কিন্তু গোল মুখে নিশ্চিত তিনকাঠি মিস করেন দিমিত্রিয়স। কেরলের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল বল গ্রিপ করতে ভুল করলে ড্রপ বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন দিমিত্রিয়স।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দু'টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেল রাহুল কেপি। এমনিতেই কেরলের রক্ষণ পুরো টুর্নামেন্টে ভাল নির্ভরতা দিতে পারেনি, তার উপর এক জন কমে যাওয়ায় আরও খানিকটা খোলা জায়গা পেয়ে যান সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ১০ জনের কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় এটিকেএমবি। এই গোলটিও করেন কার্ল ম্যাকহিউ। মনবীর সিং-এর পাস থেকে গোল করে যান তিনি। এই জয়ের ফলে ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা।