সেমিফাইনালে নামার লক্ষ্যে এটিকে
মোহনবাগান শনিবার (৪ মার্চ) খেলতে চলেছে প্লে-অফে। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে জয় মানে
শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলা। ডার্বি জেতার পর সেই রেশ কাটিয়ে এখন বেশ ফোকাসড
গোটা এটিকে মোহনবাগান দল। টানা আট ডার্বি জয়ের উল্লাসে গা না ভাসিয়ে ওড়িশাকে
ঘিরেই রণকৌশল সাজাচ্ছেন বাগান ফুটবলাররা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট।
স্লাভকো ডোমানোভিক:
ডার্বিতে জেতা এবং ম্যাচের সেরা
হওয়ার পরদিন সার্বিয়া এবং মন্টিনেগ্রো থেকে দু'টি নামী
সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল আমাকে ফোন করেছিল। তাঁরা ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে জানতে
চেয়েছিল। ভারতীয় ফুটবল যথেষ্ট উন্নত এবং ৬০ হাজার দর্শক হয়েছিল। আমার কথা শুনে
অবাক হয়ে গিয়েছিল তাঁরা। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ওড়িশা এফসি। ওরা শক্তিশালী দল।
ওদের বিরুদ্ধে শেষ বার যুবভারতীতে শেষে দিকে কিছুটা খেলেছিলাম। ওদের দুই
স্ট্রাইকার আক্রমণটা তৈরি করে। আমরা নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসী। ডার্বিতে পুরো
ম্যাচ খেলেছি। আমি আরও ভাল খেলতে পারি।
আরও পড়ুন: ৮৯ বছর বয়সে শেষ প্রাণ হারালেন পিএসজি, ফ্রান্সের প্রাক্তন কোচ
আরও পড়ুন: BGT 2023: অস্ট্রেলিয় ঘূর্ণির সামনে অস্বস্তিতে ভারত, বাম হাতে জাদু দেখালেন জাদেজাও, প্রথম দিনের শেষে ৪৭ রানে পিছিয়ে রোহিত বাহিনী
হুগো বুমোস:
ডার্বিতে যে মরিয়া মনোভাব নিয়ে
খেলেছি তার থেকেও বেশি একাগ্রতা নিয়ে শনিবার মাঠে নামব। ইস্টবেঙ্গলের থেকে
শক্তিশালী দল ওড়িশা এবং সেমিফাইনালে নামার জন্য ওরাও মুখিয়ে নামবে। আমরা
আত্মবিশ্বাসী কিন্তু আত্মতুষ্ট নই। ম্যাচটা ৯০ মিনিটের মধ্যেই শেষ করতে হবে।
প্লে-অফ মানে ফাইনাল। এই একটা ম্যাচেই সেমিফাইনালে ওঠার ফয়সলা হবে। সেটা মাথায়
রাখতে হবে। ওড়িশা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে। গোল না পেলেও আমি খুশি।
কোচ আমাকে দিয়ে যে কাজটা করাতে চাইছেন আমি সেই কাজটা করতে পারছি।
প্রীতম কোটাল:
শনিবারের ম্যাচটা কিন্তু লিগ ম্যাচ
নয়। এটা নক আউট। এই একটা ম্যাচ হারলে সব শেষ। ফলে ডার্বির থেকেও বেশি নিজেদের উদার
করে দিতে হবে এই ম্যাচ জেতার জন্য। অধিনায়ক হিসেবে বারবার সকলকে বুঝিয়েছি। ডার্বি
এখন অতীত। আমরা নিজেদের কিছু ভুলে আমরা লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। কোনও দলের
সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না। তবে ওড়িশা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ওরা ডান দিক থেকে
আক্রমণটা তোলে। বক্সের আশে-পাশে মোরিসিও
কিন্তু ভয়ঙ্কর। চকিতে টার্ন করে গোল করে। ওড়িশা অনেক গোল এই ভাবে পেয়েছে। ওকে
কিছুতেই বক্সের আশে-পাশে ঘুরতে দেওয়া যাবে না।