ভারতীয় দলের নির্বাচকরা তাঁর কথা ভাববেন না, বাংলা দলে তিনি খেলতে চান না,
গুজরাট এবং বরোদার প্রস্তাব নেই, ত্রিপুরা মনের মত অর্থ দিতে পারবে না। সব মিলিয়ে হঠাৎ
করেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহারা ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে
যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি আগামী মরসুমে রঞ্জি খেলবেন না পাপালি! শুধুইকি গুজরাট
টাইটান্সের হয়ে আইপিএল খেলবেন!
শোনা গিয়েছিল, ঋদ্ধি আগামী মরসুমে ত্রিপুরার হয়ে খেলতে পারেন। এমনকি ঋদ্ধি
নিজেও জানিয়েছিলেন যে তাঁর কাছে বেশ কিছু রাজ্যের প্রস্তাব রয়েছে। বাংলা থেকে ছাড়পত্র
পাওয়ার পরই তিনি আগামী মরশুমের পরিকল্পনা জানাবে। কিন্তু পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
বরোদা ক্রিকেট সংস্থার সচিব এবং গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার কর্তার পরিষ্কার জানিয়ে দেন
যে এখনও পর্যন্ত তাদের তরফে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বাংলার উইকেটরক্ষককে।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: বিরাটের ছন্দপতনের জন্য দায়ী শাস্ত্রী, দাবি এই পাক ক্রিকেটারের
আরও পড়ুনঃ Wriddhiman Saha: বোরিয়ার চ্যাট প্রকাশ্যে আনার কারণ খোলসা করলেন ঋদ্ধি
সম্প্রতি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র কর্মকর্তা অনিল প্যাটেল
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, " আমি নিশ্চিত করেই এটা বলতে
পারি যে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঋদ্ধিমান সাহার কাছে খেলার বিষয়ে কোনও
প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমাদের দলে হেট পটেলের মতো তরুণ উইকেটরক্ষক রয়েছে। ও খুব ভাল
খেলছে। কী কারণে আমরা ওর কেরিয়ারটা নষ্ট করব?"
অপরদিকে, বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অজিত লেলে পিটিআইকে জানিয়েছেন,
"গত একমাস ধরে আমি ভারতে নেই। তবে বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কথা বলতে গেলে
বলতে পারি ইতিমধ্যেই আমরা অম্বতি রায়াডুকে চুক্তিবদ্ধ করেছি। আমি যতদূর জানি আমাদের
তরফে সাহার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি।"
শোনা গিয়েছে, ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাহার কথা হয়েছে।
কিন্তু সেই দলের থেকে ঋদ্ধি যে পরিমাণ অর্থ চেয়েছেন তা নাকি দিতে রাজি নয় ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার থেকে ছাড়পত্র
চেয়েছেন ঋদ্ধি। শিলিগুড়ি থেকে ফিরে ছাড়পত্র নিতে সিএবি যাওয়ার কথা তাঁর।
পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “আমরা জানি ভারতীয়
দল থেকে বাদ যাওয়ায় ঋদ্ধিমানের খারাপ লেগেছে। কিন্তু বার বার যে ভাবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমে কথা বলছিলেন সেটা নীতিবিরোধী।”