দুরন্ত জয় ম্যানচেস্টার সিটির। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে কার্লো আঙ্কেলত্তির দলকে হেলায় হারাল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। প্রথম লেগে নিজেদের ঘরের মাঠে রিয়েল মাদ্রিদ ১-১ গোলে ড্র করেছিল। কিন্তু এই দিন বেনজিমা-ভিনিসিয়াস'দের মাটি ধরিয়ে দিলেন এরলিং হাল্যান্ড-জুলিয়ন আলভারেজ'রা। দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। এই সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতল ম্যান সিটি।
চলতি মরসুমে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন হাল্যান্ড। কিন্তু ম্যান সিটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার পিছনে মূল কারিগর বলা যায়, বার্নার্দো সিলভা'কে। রিয়েলের বিরুদ্ধে এই দিন প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন তিনি। সেটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। তাঁর গোলে পিছিয়ে পড়ে বেনজিমা'রা সমতায় ফেরার সুযোগ পেলেন না। বাকি দুটি গোল ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও আলভারেজের। ২৩ মিনিটে স্টোনসের পাস থেকে প্রথম গোল সিলভার। মিনিট ১৫-র মধ্যেই ব্যবধান করেন দ্বিগুণ। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটের দিকে তাকালে রিয়েল'কে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। ৮০ শতাংশ বল ছিল সিটির দখলে। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল। থিবো কুর্তোয়ার সৌজন্যে ২-০ ব্যবধানে সন্তুষ্ট থেকে বিরতিতে যেতে হয় তাঁদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারত মাদ্রিদ। কিন্তু ডেভিড আলাবার শট বাইরে পাঠান এডারসন। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ভিনিসিয়াস-বেনজিমা'রা। কিন্তু এই দিন যেন তাঁদের কোনও মন্ত্রই কাজে লাগল না সিটির সামনে। উল্টে ৭৬ মিনিটে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় সিটি। ডি ব্রুইনের ফ্রি-কিকে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন মিলিসিয়াও। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রিয়েলের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন আলভারেজ। ফাইনালে ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। ইস্তানবুলের ফাইনাল জিতে এক মরসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কৃতিত্ব গড়তে পারেন আলভারেজ।