মহাবিপাকে পড়ল রোনাল্ডো পরিবার। ক্রিস্টিয়ানোর জার্সি
নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করছিল পেগাসো নামের একটি বিদেশি সংস্থা। কিন্তু এর জন্য যে ক্লাবের
জার্সি বিক্রি করা হচ্ছে, তাদের থেকে কোনও রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি সামনে আসে ২০১৯ সালে। তখন রিয়েল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালির ক্লাব
জুভেন্তাসে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো। সেই সময়ই দেখা যায়, তুরিনের ক্লাবের জার্সি হুগো ডস স্যান্টোস আভেইরো (রোনাল্ডোর দাদা) সংস্থা পেগাসো অনলাইনে বিক্রি করছে। বিশ্বের
যে কোনও বড় ক্লাব তাদের জার্সির পেটেন্ট নিয়ে রাখে। জার্সি বিক্রি করতে গেলে উক্ত
ক্লাবের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু জুভেন্তাসের পক্ষ থেকে কোনও অনুমতিই নেয়নি রোনাল্ডোর দাদা এবং
তাঁর সংস্থাটি। তার উপর জার্সিতে রোনাল্ডোর
ছবি ও সই ব্যবহার করছিলেন তিনি। ২০১৯ সালেই হুগোর সংস্থার
বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। Corriere dello Sports-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জার্সি জালিয়াতি নিয়ে তদন্ত অনেক দূর গড়িয়েছে। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কিনা, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। কিন্তু দাদার
এমন কাণ্ডে রোনাল্ডোও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেসি-জাভি'র বিরুদ্ধে খেলা এই তারকা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন
আরও পড়ুন: 'মেসিকে নিয়ে আসতে নিজের বেতনও কমিয়ে দেব', লিওকে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে খেলাতে সচেষ্ট মার্টিনেজ
২০১৯ সালের পর রোনাল্ডোর জীবনে অনেক
বদল এসেছে। জুভেন্তাস তাঁকে আর রাখতে চায়নি। ইতালির ক্লাব থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু ছেলেবেলার ক্লাবে ফেরা খুব একটা সুখকর হয়নি। কোচ এরিক টেন
হ্যাগের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করার পরই তাঁর সঙ্গে
চুক্তি বাতিল করে ইংল্যান্ডের ক্লাব। কাতার বিশ্বকাপের পর
সৌদির ক্লাব আল নাসিরিতে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো।