ফের রক্তারক্তি কান্ড ফুটবল স্টেডিয়ামে। ইন্দোনেশিয়ার একটি স্টেডিয়ামে পার্সিবায়া’র
বিরুদ্ধে হেরে যায় আরিমা। এর পরই মাঠে ঢুকে বিক্ষোভ চালান সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল
দিতে শক্ত হাতে হাল ধরতে হয় পুলিশকে। এর পর তড়িঘড়ি করে মাঠ ছাড়তে গিয়ে প্রাণ হারান
১৭৪ সমর্থক (এখনও পর্যন্ত যা খবর)। ভয়াবহ এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ফিফা সভাপতি
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শনিবার প্ৰথমে দুই গোলে এগিয়ে যায় পার্সিবায়া। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগেই
তা শোধ করে দেয় আরিমা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পার্সিবায়া তাদের তৃতীয় গোলটি করে, যা শোধ
করতে পারেনি আরিমা। এই সুবাদে ৩-২ গোলে জিতে যায় আরিমা’র বিপক্ষ দলটি। এই হার মেনে
নিতে পারেননি সমর্থকরা। মাঠে নেমে ফুটবলারদের উপর চড়াও হন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো
হয়েছে, ‘প্রায় ৩০০০ সমর্থক মাঠে বিক্ষোভ চালায় এবং ভাঙচুর করে।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে
মাঠে নামে পুলিশ। প্রাণ হারান দুই পুলিশ কর্তা। এর পরই বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদুনে গ্যাস
ব্যবহার করা হয় পুলিশের তরফে। ভয় পেয়ে মাঠের এদিক-সেদিক ছুটতে শুরু করেন সমর্থকরা।
যার ফলে পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৭৪ জন সমর্থক।
আরও পড়ুন: EPL: ম্যান সিটির বিরুদ্ধে নামার আগে হাল্যান্ড'কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রোনাল্ডো'দের কোচ
আরও পড়ুন: La Liga: লেয়ানডস্কির দুরন্ত গোলে জয় বার্সেলোনার
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, “ইন্দোনেশিয়ায় একটা ফুটবল ম্যাচকে
কেন্দ্র করে যে ঘটনা সবার সামনে এসেছে সেটা আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। পার্সেবায়া
সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাবের মধ্যে ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেই পারছি না।
বিশ্ব ফুটবলকে কেন্দ্র করে যত খারাপ ঘটনা ঘটেছে, এটা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। আমার মতে
এটা বিশ্ব ফুটবলের ‘কালো দিন’।” তিনি আরও বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন
তাঁদের পরিবারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রইল। এই মুহূর্তে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া সরকার, এএফসি, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সবাইকে এগিয়ে এসে কাজ করতে
হবে।” জিয়ান্নি এ-ও বলেন, “আগামী এক বছর অভিযুক্ত ক্লাব আরিমা এফসির ঘরের মাঠে আরও
কোনও ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। ফুটবলের মানচিত্রে ইন্দোনেশিয়ার মুখ পুড়িয়েছে সমর্থকরা।”