দল বদলের বাজারে একের পর এক চমক দিয়েই চলেছে এটিকে মোহনবাগান। এর আগে বাগান সই করিয়েছিল ভারতের দুই রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আশিষ রাই ও আশিক কুর্নিয়ান। এবার রক্ষণভাগকে
আরও মজবুত করতে অস্ট্রেলিয়ার 'এ' লিগের ফুটবলার ব্রেন্ডন হ্যামিলকে দুই বছরের চুক্তিতে
দলে নিল এটিকে মোহনবাগান।
জানা গিয়েছে, আসন্ন এএফসি কাপের সেমিফাইনালের জন্য এশিয় কোটার একজন রক্ষণভাগের
খেলোয়াড়কে খুঁজছিলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরেন্দো। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই হ্যামিলকে দলে নিল সবুজ মেরুন ম্যানেজমেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন হার্ট, দক্ষিণ কোরিয়ার সেওনগাম, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন
সিডনি ওয়ান্ডারার্স, ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেডের মত ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ২৯ বছর বয়সী এই রক্ষণভাগের ফুটবলারের।
জানা গিয়েছে, মেলবোর্ন হার্টে সই করার আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ক্লাবে খেলার
প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। ১৭ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসেবে মেলবোর্ন হার্টে সই করে
নজিরও গড়েছিলেন তিনি। মেলবোর্ন হার্টের হয়ে ৩৫টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
মেলবোর্ন ভিকট্রি ক্লাবের হয়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন হ্যামিল। রয়েছে ৩টি গোলও। গত মরসুমে
অস্ট্রেলিয়ান লিগে মেলবোর্ন ভিকট্রিকে রানার্সআপ করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
আরও পড়ুনঃ Prabir Das: ইস্টবেঙ্গলের বড় অঙ্কের প্রস্তাব থাকা স্বত্বেও বেঙ্গালুরু যাওয়ার কারণ জানালেন প্রবীর
আরও পড়ুনঃ ATKMB: তিরির পরিবর্ত হিসেবে এক অজি ডিফেন্ডারকে দলে নিতে চলেছে সবুজ-মেরুন শিবির
অস্ট্রেলিয়ার যুব ও বয়সভিত্তিক জাতীয় দলেও খেলেছেন হামিল। অস্ট্রেলিয়ার
অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে ১৬টি ম্যাচে রয়েছে তাঁর ৪টি গোল। অনূর্ধ্ব ২০ অস্ট্রেলিয়া দলের
হয়ে ১৪টি ম্যাচে রয়েছে তাঁর ১ টি গোল। এএফসি
কাপেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। হ্যামিলের যোগ দেওয়ায় যে বাগানের রক্ষণ আরও শক্তিশালী হয়ে গেল তা মেনে নিলেন কোচ ফেরান্দো। তিনি বলেন, "হ্যামিলকে বেছে নেওয়ার কারণ ও শুধু রক্ষণে নির্ভরতা জোগায়
না, পিছন থেকে খেলাটাও তৈরি করে। ও দলে যোগ দেওয়ায় আমার রক্ষণ কঠিন সময়ে ওর থেকে সাহায্য
পাবে। অস্ট্রেলিয় লিগে ওর খেলা আমি দেখেছি। ওর অভিজ্ঞতা দলকে সমৃদ্ধ করবে।"
বাগানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই অজি তারকা। তিনি বলেন,
"ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে যে তথ্য জেনেছি তাতে এই ক্লাবের বিশাল ফুটবল ইতিহাস আছে।
সবুজ মেরুন জার্সির ঐতিহ্য ও পরম্পরা ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছে। অন্য ক্লাবের প্রস্তাব
থাকলেও সেটাই আমাকে টেনেছে। ভারতে এসে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে সাফল্য ও ট্রফি এনে দেওয়ার
জন্য মুখিয়ে আছি। শুনেছি কলকাতা ফুটবলের শহর। এই ক্লাবের কোটি কোটি সমর্থক রয়েছে। মেরিনার্সদের
আনন্দ দেওয়া এবং খুশি করাই লক্ষ্য হবে আমার।"