সুদূর মন্টেনিগ্রো থেকে ভারতে এসেছেন
তিনি। বর্তমানে সেই দেশেই রয়েছে তাঁর স্ত্রী-সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এদিকে কঠিন পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে স্লাভকো ড্যামজানোভিচ। আগামী শনিবার আইএসএল-এর
ফাইনাল। বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে এই দিন
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামবেন তিনি এবং তাঁর সতীর্থরা। প্রথমবার আইএসএল ফাইনাল
খেলবেন স্লাভকো। এতদিন বিদেশের মাটিতে বেশকিছু ট্রফি জিতেছেন তবে এবার সন্তানদের
আবদারেই ট্রফি জিততে চান মোহনবাগানের বিদেশী ডিফেন্ডার।
ফাইনালের আগে স্লাভকো ড্যামজানোভিচ
বলেছেন, “আমি সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো,
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হাঙ্গেরিতে খেলে বেশ কয়েকবার লিগ বা কাপে
চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ভারতে খেলতে এসে এই প্রথম আমার সামনে ট্রফি জেতার সুযোগ
এসেছে। এই সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করতে চাইনা। আমার দুই মেয়ে এবং ছেলে প্রায়
প্রতিদিনই ফোন করে আবদার করছে বাবা, তোমাকে ট্রফিটা জিততেই
হবে। মন্টিনেগ্রোতে যাঁরা আমার বা আমাদের দলের খেলা দেখছে সবারই একই আবদার। আমার
ছেলে-মেয়েকে ট্রফিটা উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডার্বিটা আমার মতে ছিল
সবথেকে কঠিন ম্যাচ। সেটা আনায়াসে জেতার পর আমাদের দল দারুণ ফর্মে আছে। কোনও ম্যাচ
আমরা হারিনি। বেঙ্গালুরুও ধারাবাহিক জয় পাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া আর কিছু
ভাবছি না।”
আরও পড়ুন: ফিফায় বজায় থাকল ইনফ্যান্টিনো জামানা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী বর্ষীয়ান প্রশাসক, কত দিন বাড়ল মেয়াদ
আরও পড়ুন: ISL 2022-23: ব্যর্থতার ক্ষত বুকে নিয়েই অনুশীলনে নামছে ইস্টবেঙ্গল
বিপক্ষ দল নিয়ে স্লাভকো বলেছেন, “বেঙ্গালুরু না, হায়দরাবাদ, কোন দল বেশি শক্তিশালী সেটা বলা কঠিন। হায়দরাবাদের রক্ষণ শক্তিশালী। ওদের
বিরুদ্ধে গোল করা কঠিন। আবার বেঙ্গালুরুর আক্রমণভাগ শক্তিশালী। ওদের রয় কৃষ্ণার
বিরুদ্ধে আমি আগে অন্য ক্লাবের জার্সিতে দুটো ম্যাচ খেলেছি। ওকে চিনি, জানি। ভাল ফুটবলার। হায়দরাবাদের ওগবেচে বস্ত্র স্ট্রাইকার। বক্সের মধ্যে
ভয়ঙ্কর। রয় কিন্তু বল নিয়ে অনেকখানি জায়গা নিয়ে খেলে। খুব বুদ্ধিমান ফুটবলার।
কোনও দল বা ফুটবলারকে আমি খাটো করে দেখতে রাজি নই। প্রত্যেককে সমীহ করি তবে
চিন্তিত নই। আমি নিশ্চিত নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে আমারাই চ্যাম্পিয়ন হব। নব্বই
মিনিট নয়, ১২০ মিনিটের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামব আমরা।”