ফুটবল স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া.... তারপর বাকি টা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার
মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার দুটি দল, পার্সিবায়া;র মুখোমুখি হয় আরিমা। এই দিন নির্ধারিত
সময়ের পর প্রিয় দল হেরে যেতেই মাঠে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন সমর্থকরা। ধীরে ধীরে বিরাট
আকার ধারণ করে এই বিক্ষোভ। বাধ্য হয়ে হাল ধরতে হয় পুলিশকে। এর পরই তড়িঘড়ি করে বেরোতে
গিয়ে প্রাণ হারান অন্তত ১২৯ জন সমর্থক।
এই দিন প্ৰথমে দুই গোলে এগিয়ে যায় পার্সিবায়া। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগেই
তা শোধ করে দেয় আরিমা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পার্সিবায়া তাদের তৃতীয় গোলটি করে, যা শোধ
করতে পারেনি আরিমা। এই সুবাদে ৩-২ গোলে জিতে যায় আরিমা’র বিপক্ষ দলটি। এই হার মেনে
নিতে পারেননি সমর্থকরা। মাঠে নেমে ফুটবলারদের উপর চড়াও হন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো
হয়েছে, “প্রায় ৩০০০ সমর্থক মাঠে বিক্ষোভ চালায় এবং ভাঙচুর করে।” পরিস্থিতি সামাল দিতে
মাঠে নামে পুলিশ। প্রাণ হারান দুই পুলিশ কর্তা। এর পরই বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদুনে গ্যাস
ব্যবহার করা হয় পুলিশের তরফে। ভয় পেয়ে মাঠের এদিক-সেদিক ছুটতে শুরু করেন সমর্থকরা।
যার ফলে পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১২৯ জন সমর্থক।
আরও পড়ুন: La Liga: লেয়ানডস্কির দুরন্ত গোলে জয় বার্সেলোনার
পুলিশের তরফে জানানো হয়, “১২৯ জন সমর্থকদের মধ্যে এক ছয় বছরের শিশুও প্রাণ
হারিয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের বেশির ভাগ জন প্রাণ হারিয়েছেন পদপৃষ্ঠ হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ
হয়ে।” সরকারের তরফে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ১৮০ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনার আঁচ আগেই অনুভব
করে ছিলেন ম্যাচ আয়োজকরা। সেই কারণে স্টেডিয়ামের মোট দর্শকাশনের (৪২ হাজার) ৩৮ হাজার
টিকিট ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামলাতে কার্যত ব্যর্থ হল ইন্দোনেশিয়া
লিগা ১ লিগ কর্তৃপক্ষ।