দীর্ঘ চার বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফিরেছে বিশ্ব হকির সব থেকে মূল্যবান খেতাবের প্রতিযোগীতা বিশ্বকাপ। ১৬টি দেশকে নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলেছে হকির মহাযুদ্ধ। ২০১৮ সালের পর ২০২৩ সালের গোড়ায় হকি বিশ্বকাপকে ঘিরে কাঁপছে গোটা ওড়িশা। রাউরকেল্লা স্টেশনে ঢোকা মাত্রই বোঝা যাবে শহরে হকি ঘিরে কী উন্মাদনাই না রয়েছে। অবশ্য দিন আগেও রাউরকেল্লা রেলওয়ে স্টেশনে ছিল না হকির উৎসবের কোনও আমেজ। এই নিয়ে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে ঠান্ডা বিরোধ বেড়েছিল রেল কর্তাদের। সরকারের বিরক্তি প্রকাশের আঁচ পেয়ে এবং মিডিয়ার চর্চায় তাঁদের নাম এসে পড়ায় রেল রাতারাতি স্টেশনের ভোল বদলাতে তৎপর হয়ে ওঠে।

শহরের প্রতিটা মোর সাজিয়ে তোলা হয়েছে হকিকে ঘিরেই। বিভিন্ন দেওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে হকি খেলোয়াড় এবং এই খেলাকে কেন্দ্র করে তৈলচিত্র। বিশ্বকাপ শুরু দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক নিজের স্বপ্নের প্রোজেক্ট বিরসা মুণ্ডা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন স্বয়ং। বিশ্বের বৃহত্তম হকি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে ওড়িশা সরকার। একুশ হাজার আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। রাউলকেল্লা ছাড়াও ভুবনেশ্বরে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। তবে, গ্রুপে নিজেদর অন্তিম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েলস ছাড়া স্পেন এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল খেলবে ওড়িশার হকির প্রাণকেন্দ্রে। 

প্রাথমিক ভাবে রাউরকেল্লাকে ছুঁয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আয়োজকরা কিন্তু তাতে রাজি হননি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যেই সুন্দরগড় জেলার মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে হকি সেই শহরকে শুধু ছুঁয়ে গেলে চলবে না, দৃষ্টান্ত স্থাপনকরে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে এই জেলার কেন্দ্রস্থল রাউরকেল্লায় আয়োজন করতে হবে হকি বিশ্বকাপ। 

এই সুন্দরগড় জেলাকে বলা হয় ওড়িশার হকির আঁতুর ঘর। এ বারে যে ভারতীয়দল বিশ্ব খেলতে চলেছেন সেই দলে এই জেলা থেকে রয়েছে দুই জন। এক জন সহ অধিনায়ক অমিত রোহিদাস এবং তরুণ হকি প্রতিভা নিলম নিলম সঞ্জীব। এই জেলাতে রয়েছে ১৭টি অ্যাস্ট্রো টার্ফ। সারা ওড়িশায় রয়েছে ২৮টি অ্যাস্ট্রো টার্ফ তার মধ্যে অধিকাংশটাই এই জেলায়।