ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানেই আলাদা একটা উত্তেজনা! এতদিন ফুটবলের ময়দানে সেই উত্তাপ অনুভব করে এসেছেন সমর্থকরা। কিন্তু এবার সেই উত্তেজনার আঁচ এসে পড়ল হকিতেও। দীর্ঘ ২২ বছর পর লাল-হলুদের মুখোমুখি হল সবুজ-মেরুন। মহমেডান মাঠে আয়োজিত সেই ম্যাচই সমর্থকদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করল। যার জেরে আহত হলেন সমর্থক থেকে শুরু করে একাধিক সাংবাদিকও।
রবিবার ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয় মোহনবাগান। ফুটবলের কিংবা হকি বলে নয় কলকাতার দুই ক্লাবের নামের সঙ্গেই যে সমর্থকদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, সেটা বাইরে থেকে বোঝা গেলেও পুলিশ তা বুঝতে পারেনি। এই দিন প্ৰথমে মহমেডান মাঠে পুলিশ দেখা যায়নি। সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হওয়ার পর পুলিশ আসে। জানা যাচ্ছে, মোহনবাগান সমর্থকদের তরফে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের লক্ষ্য করে মাটির ডেলা, জলের বোতল ছুড়তে থাকেন তাঁরা। যা সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ানক রূপ নেয়। সমর্থকদের রোষের মুখে পড়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
কলকাতা বিদ্যুৎ পরিষদ এবং ক্যালকাটা কাস্টমসকে প্রথম দুটো ম্যাচে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে মোহনবাগান। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলও টানা তিন ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে। হাওড়া ইউনিয়ন, আদিবাসী ক্লাব, খালসা ব্লুজকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ফুটবলে ব্যর্থতার অধ্যায় চলছে ইস্টবেঙ্গলে। টানা ৭টা বড় ম্যাচে হেরেছে মশাল ব্রিগেড। হকি ডার্বিতে বদলা নেওয়ার আশায় লাল-হলুদ সমর্থকরা এই দিন ভিড় জমান। কিন্তু পুলিশি নিরাপত্তা না থাকায় বড়সড় বিপদ হতে পারত। ২০২০ সালে কলকাতার এই দলের ডার্বি আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণবশত তা বাতিল হয়ে যায়। এই ডার্বি আয়োজন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় তাদের স্পনসর ছিল কোয়েস। বিনিয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব থেকে গেলেও তারা সমর্থকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও পাননি সমর্থকরা। সেই ক্ষোভ থেকেই এই দিন ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হল বলে অনুমান করছেন অনেকেই।