শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং-এর স্মৃতিবিজরিত
শহরে আজও ভগত সিংয়ের জেল ডায়েরি এবং তার মা বিদ্যাবতীর গাড়ি সংরক্ষিত রয়েছে।
ষাটের দশকে ভগত সিংয়ের ছোট ভাই সর্দার কুলবীর সিং পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলা থেকে
ফরিদাবাদে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা বিদ্যাবতী।
১৯৭৩ সালে চণ্ডীগড়ে তৎকালীন
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞানী জৈল সিং বিদ্যাবতীকে পঞ্জাব মাতার উপাধি দিয়েছিলেন
এবং তাকে অ্যাম্বাসেডর উপহার দিয়েছিলেন। এই গাড়িটি বর্তমানে ভগত সিং কলেজে রাখা
রয়েছে। এর নম্বর PUR-2198। ভগৎ সিংয়ের আসল জেল ডায়েরিও এই শহরেরই একটি অংশ।
লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার প্রশাসন
ভগৎ সিংকে লেখার জন্য ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর একটি ডায়েরি দেয়। এতে ইংরেজি ও
উর্দুতে লিখেছিলেন ভগৎ সিং। ৪০৪ পৃষ্ঠার এই ডায়েরিতে ভগৎ সিং লাহোর জেলে
স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে কাটানো কঠিন দিনগুলোর প্রতিটি মুহূর্ত লিখিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যালকোহল পান করার পর কারও কারও হয় 'হ্যাংজাইটি', জেনে নিন কেন হতে পারে এই সমস্যা
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে কতটা অ্যালকোহল দেওয়া হয়, কেন যাত্রীরা হারিয়ে ফেলেন মূত্রত্যাগের অনুভূতিটুকুও
মাত্র ২৩ বছরের জীবন কাটানো ভগৎ
সিং-এর এই জেল ডায়েরিই তাঁর সমগ্র ব্যক্তিত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট। এটা
দেখে জানা যায়, অর্থনীতিতেও তাঁর খুব ভাল ধারণা ছিল।
একটি কাকতালীয় ব্যাপার এই যে ১৯০৭
সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভগৎ সিংয়ের জন্মের
সময় তাঁর বাবা কিষাণ সিং এবং কাকা অজিত সিং জেল থেকে মুক্তি পান। দু’জনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাই ভগতের ঠাকুমা জয়কৌরের মুখ
থেকে বেরিয়ে এল যে, “ইয়ে মুন্ডা তো বরা
ভাগবালা হ্যায়।” তখন পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন
যে ভ্যাগ্যবান নবাগতর নাম রাখা হোক ভগৎ সিং।