বাজার ছেয়ে গিয়েছে আমে। আর এই গরমে সকলেরই খুব প্রিয় ফল হল আম। কাঁচা আমের
শরবত থেকে শুরু করে আমের চাটনি বা আচার সকলেরই খুব পছন্দের। কিন্তু আম দিয়ে কখনও মাংস
করে খেয়েছেন। শুনে হয়তো চমকে উঠবেন কিন্তু হ্যাঁ একবার বানিয়ে খেতেই পারেন। কাঁচা আম দিয়ে মাংস'। গরমে
কাঁচা আমের উপকারিতার কোনও তুলনা হয় না।
উপকরণ
কাঁচা আম দিয়ে মাংস
মাংস (মটন)
কাঁচা আম
আলু
পটল
দই
পেঁয়াজ
আদা তেজপাতা
শুকনো লঙ্কা
হলুদ গুঁড়ো
লঙ্কা গুঁড়ো
নুন
চিনি
ঘি
তেল
আরও পড়ুন:Tamarind Skin Benefits: ত্বকের জেল্লা ফেরাবে তেঁতুল! একবার এই পদ্ধতি ট্রাই করে দেখতেই পারেন
এই রেসিপিটি খাস ঠাকুর বাড়ির পদ।
আজকাল অনেকেই নিজেদের মতো করে মশলা ব্যবহার করেন। কিন্তু সাবেকি পদটিতে গরম মশলা
এমনকি রসুনের ব্যবহারও হত না। আর আলুর পাশাপাশি মাংসে দেয়া হত পটল। প্রেশার কুকার
নয়,
রান্না হত কড়াইয়ে।
রান্নার পদ্ধতি
মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ এবং
আদা খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এবার দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, সামান্য নুন এবং খানিকটা ঘি ভালো করে মিশিয়ে মাংসতে মাখিয়ে
নিন। কম করে চার ঘণ্টা মাংস ম্যারিনেট করতে হবে। সারা রাত ম্যারিনেট করতে পারলে
মাংসের স্বাদ আরও বেড়ে যায়। কাঁচা আম
মিহি করে কুচিয়ে নিন। আমের পরিমাণটা খেয়াল রাখতে হবে। এক কেজি মাংসের জন্য অর্ধেক
কাপ আম কুচি দরকার। আলুর খোসা ছাড়িয়ে
নিন। পটল ছোটো হলে গোটা, আর বড় হলে অর্ধেক
করে ভাগ করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম
করে সামান্য নুন এবং হলুদ সহযোগে আলু এবং পটল ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন।
ফোঁড়নের সুগন্ধ উঠলে তাতে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। তাতে দিয়ে দিন সামান্য
নুন, চিনি, হলুদ এবং লঙ্কা গুঁড়ো।
সমস্ত উপরকরণ খুব ভালো করে কষাতে
থাকুন। প্রয়োজন মতো অল্প অল্প করে জল দেবেন। খেয়াল রাখবেন কড়াইয়ের নীচটা যেন
পুড়ে না যায়। যতক্ষণ না মাংসের রং পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ মাংস কষিয়ে যান। রং বদলালে তাতে দিয়ে দিন গরম জল, কাঁচা আম, ভাজা আলু এবং পটল। সমস্ত উপরকরণ ফের
ভালো করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না মাংস নরম
সিদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণ লো ফ্লেমে মাংস কষিয়ে যান। রান্না হওয়ার পর কড়াই বেশ কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবেন।
-