বিয়ে কী-একথা
যদি প্রাপ্তবয়স্ক কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে হয়তো মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে
বসবে। ‘বিয়ে কেন করলাম’-সাত পাকে বাধা পড়ার মোটামুটি বছরপাঁচেক পর থেকে প্রতিটি
মানুষেরই জীবনের কাছে এই প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়ায় বিয়ে নামক বিষয়টি। সোজা কথায়, যুগ
যুগ ধরে বিয়ে নিয়ে রসিকতা থেকে শুরু করে গুরুগম্ভীর আলোচনা কিছুই কম হয়নি।
সম্প্রতি এক স্কুল পড়ুয়া বিয়ের এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে নেট দুনিয়ায় হাসির রোল
উঠেছে।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: আয়না সংক্রান্ত এই ভুলগুলি ঘরে ডেকে আনে দারিদ্র্য, সময় থাকতে জেনে নিন
পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা কী না করে। অনেক সময় শিক্ষককে
খুশি করতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় নগদ টাকা রাখার খবরও সামনে এসেছে। আবার কিছু পড়ুয়া রয়েছে যারা
পরীক্ষার সময় তাদের মনের কথা তাদের খাতায় লিখে রাখে। এই পড়ুয়ার ক্ষেত্রও
তাই। পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল বিয়ে কী?
ছাত্র এমন উত্তর দিল যে শিক্ষক শূন্য দিতে বাধ্য হলেন।
আরও পড়ুন: Shani Dev: কিভাবে শনিদেবকে তেল নিবেদন করবেন, সঠিক নিয়ম শিখে নিন
পোস্টটি
টুইটারে শেয়ার করেছেন ভেলু নামে এক ব্যক্তি। সোশ্যাল স্টাডিজ পরীক্ষায়
বিয়ে নিয়ে এমন মজার উত্তর দেওয়া ছাত্রের নাম মুরুকা এ পামট্যালেন্ট। এই উত্তরের
জন্য শিক্ষক তাকে ১০-এর মধ্যে ০
দিয়েছেন। কিন্তু এই উত্তরটি পড়লে বোঝা যায় পাঠ্য বইয়ে লেখা বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে শিশুটি যা লিখেছে মন থেকে লিখেছে। বিবাহিতদের একাংশের
উপলব্ধি, নিষ্পাপ মনে পড়ুয়াটি
যা লিখেছে তাই বিবাহিত জীবনের আসল সত্য।
বিয়ের সংজ্ঞায় শিশুটি লিখেছে, “বিয়ে তখনই হয়,
যখন মেয়ের বাবা-মা তাঁদের মেয়েকে বলেন,'তুমি
এখন বড় হয়ে গেছো। তোমাকে আর খাওয়াতে পারছি না। যাও একজন লোককে খোঁজো যিনি
তোমাকে খাওয়াবে।' একইভাবে ছেলের বাড়িতে বলে, 'বড় হয়েছ, এবার বিয়ে করে।” খুদের আরও সংযোজন,
“ছেলে ও মেয়ে উভয়ে নিজেদের পরীক্ষা করে এবং খুশি হয়। তারপর তারা একসঙ্গে থাকতে রাজি হয়। সন্তান পাওয়ার জন্য বাজে কাজ করতে
শুরু করে।”
ছাত্রের এত সুন্দর লেখা দেখে বেজায় চটেছেন শিক্ষক, লিখে দিয়েছেন
‘ননসেন্স’। তবে নেটিজেনদের দাবি খুদে একেবারে যথার্থ উত্তর দিয়েছে। তাই তাঁকে শিক্ষকের
ফুল মার্কস দেওয়া উচিৎ।