আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা উত্তপ্ত লাভা ভূপৃষ্ঠে এসে শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে পৃথিবীতে শক্তিশালী ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আগ্নেয়গিরির কারণে অনেক দ্বীপও তৈরি হয়েছে। যদিও পৃথিবীতে অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে, কিছু সক্রিয় এবং কিছু নিষ্ক্রিয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আগ্নেয়গিরি শুধুমাত্র পৃথিবীতেই নয়, সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ এবং উপগ্রহেও রয়েছে। যাইহোক, তাদের মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে, যা নিষ্ক্রিয় এবং লক্ষ লক্ষ বছর ধরে অগ্নুৎপাত হয়নি। ভবিষ্যতেও ঘটার সম্ভাবনা কম।
বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ। এর পৃষ্ঠে অনেক শিলা এবং গর্ত রয়েছে, যা আগ্নেয়গিরির কারণে তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এক সময় এই গ্রহে অনেক আগ্নেয়গিরি ছিল, কিন্তু পরে সবগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তারপরে তারা আর সক্রিয় হয়নি।
শুক্রকে সৌরজগতের অন্যতম রহস্যময় গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর কারণ হল উপর থেকে সরাসরি এর পৃষ্ঠ দেখা অসম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, এর আকাশ ঘন মেঘে ঘেরা এবং সেই মেঘগুলি কখনওই ভাঙে না। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই গ্রহে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি সক্রিয় রয়েছে। আসলে এটি একটি উষ্ণ গ্রহ এবং এর অন্যতম কারণ হল আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা।
মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে অতীতে এখানে জল ছিল এবং সেখানে কোনও ধরনের প্রাণ থাকতে পারে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর কোনও শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই গ্রহে একসময় আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব ছিল বলে বিজ্ঞানীদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল গ্রহের অলিম্পাস মনস হল সৌরজগতের বৃহত্তম পরিচিত আগ্নেয়গিরি, যার উচ্চতা প্রায় ২৫ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে তিনগুণ বেশি। যাইহোক, এটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল এবং আর কখনও সক্রিয় নাও হতে পারে।
আপনি কি জানেন যে চাঁদ, পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ, একবার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ছিল? যদিও এখন নেই। বিজ্ঞানীদের কাছে এর শক্ত প্রমাণও রয়েছে। চাঁদে গলিত লাভা দিয়ে তৈরি বিস্তীর্ণ সমভূমি রয়েছে বলে মনে করা হয়, যাকে মারিয়া বলা হয়।