মহাভারতে, যখন কৌরব এবং পাণ্ডবদের মধ্যে যুদ্ধ হবে বলে ঠিক করা
হয়েছিল,
তখন অর্জুন এবং দুর্যোধন শ্রীকৃষ্ণের সাহায্য চাইতে
দ্বারকায় গিয়েছিলেন। দুর্যোধন আগে পৌঁছান, তারপর যান অর্জুন। তখন শ্রীকৃষ্ণ ঘুমাচ্ছিলেন। দু’জনেই মাধবের ঘুম থেকে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
কিছুক্ষণ পর, যখন শ্রীকৃষ্ণ চোখ খুললেন, তিনি প্রথমে অর্জুনকে দেখতে পেলেন, কারণ মধ্যম পাণ্ডব শ্রীকৃষ্ণের পায়ের কাছে বসে ছিলেন। তাই
মাথার কাছে দাঁড়িয়ে থাকায় দুর্যোধনকে দেখতে পাননি।
অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বললেন যে বাসুদেব
আমি যুদ্ধের জন্য আপনার সাহায্য চাইতে এসেছি। তখন দুর্যোধনও বললেন, কৃষ্ণ আমিও এসেছি এবং অর্জুনের আগে তোমার সাহায্য চাইতে
এসেছি। এজন্য আপনাকে প্রথমে আমাকে সাহায্য করতে হবে। শ্রী কৃষ্ণ বললেন আগে আমি
অর্জুনকে দেখেছি, কিন্তু তুমি এখানে
প্রথম এসেছ। এখন আমাকে তোমাদের দুজনকেই সাহায্য করতে হবে। তাই তোমাদের উভয়ের জন্য
আমার কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে। আমি একদিকে আর আমার সমগ্র নারায়ণী বাহিনী অন্য
দিকে। তোমরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নাও। তবে মনে রাখবেন
আমি যুদ্ধে অস্ত্র ধরব না।
আরও পড়ুন: Shraddha Walker Murder Case: ৬৬২৯ পাতার চার্জশিট দাখিল করল পুলিশ, সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন: BharOS: অ্যান্ড্রয়ডের যুগ শেষ, এবার এই দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমেই ভরসা করতে চলেছে কেন্দ্র
সঙ্গে সঙ্গে অর্জুন কৃষ্ণের সাহচর্য
চান। একথা শুনে দুর্যোধন খুশি হলেন, কারণ তিনি নারায়ণী সেনাকে চেয়েছিলেন। সেই সময় নারায়ণী বাহিনীকে সবচেয়ে
ধ্বংসাত্মক সেনা বলে মনে করা হত। শ্রীকৃষ্ণ তাদের ইচ্ছানুযায়ী উভয়কে সাহায্য
করতে রাজি হলেন। দুর্যোধন এখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণকে ত্যাগ করে
তিনি নারায়ণী সেনা চেয়ে বসলেন। অর্জুন জানতেন স্বয়ং ঈশ্বর যেখানে আছেন, সেখানে জয় হবেই। যদিও দুর্যোধন তা বুঝতে পারেননি। যুদ্ধে
সময়ে সময়ে শ্রী কৃষ্ণ পাণ্ডবদের রক্ষা করেছিলেন। দুর্যোধনের এই ভুলের কারণে
কৌরবরা পরাজিত হয়।