নেতাজির জীবন ও মৃত্যু নিয়ে এমন
অনেক গল্প আছে, যা মানুষ এখনও জানতে চায়। এমনকি
সরকার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে এবং এতে নেতাজির জীবন সম্পর্কিত অনেক গোপনীয়তা
প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। সরকার এ পর্যন্ত অনেক ফাইল প্রকাশও করেছে, যার মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত অনেক তথ্যও
সামনে এসেছে। আমরা আপনাকে বলি যে ২০১৬ সাল থেকে, সরকার অনেক গোপনীয়তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে এবং সরকার অনেক নথি প্রকাশ
করেছে।
প্রথমত, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, এই ওয়েবসাইটে ১০০টি ফাইল প্রকাশিত হয়েছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, আজ এই সমস্ত পাবলিক ফাইলগুলির ভিত্তিতে, আমরা নেতাজির জীবন সম্পর্কিত কিছু বিশেষ কথা বলতে চলেছি।
নথিগুলি সামনে আসার সময় প্রকাশিত
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, নেতাজি সুভাষ
চন্দ্র বসুর তদন্ত কমিটি ১৯৫৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সালে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
এটি সেই একই রিপোর্ট যেখানে বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা
হয়েছে যে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। এই
নথিগুলিতে এটি প্রকাশ করা হয়েছিল যে তিনি ওই বছরেরই ১৬ আগস্ট মাঞ্চুরিয়ার
উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্কক ছেড়েছিলেন এবং রাশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এদিকে, ১৮ আগস্ট তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনা হয় এবং এই দুর্ঘটনায়
নেতাজি দগ্ধ হন। এই নথিগুলিতে এটিও প্রকাশ করা হয়েছে যে এর পরে নেতাজীকে
তাইহোকুতে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি বাঁচতে
পারেননি এবং তাঁকে তাইহোকুতেই দাহ করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে তাঁর হাড়গুলো নিরাপদে রাখা হয়েছে।
অনেকের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে যে তারা নেতাজির পোশাক পুড়তে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: Swami Vivekananda 2023: শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামীজির বক্তৃতা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা, সেদিন কি বলেছিলেন তিনি?
আরও পড়ুন: আর্থিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে আসতে পারে এই ফুলের টোটকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন পশ্চিমা
শক্তির সামনে জাপান-ইতালি মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তখন তারা রাশিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটি আরও নির্দেশ করে যে নেতাজির
মৃত্যুর খবর যেভাবে প্রকাশিত হয়েছিল তা সন্দেহের জন্ম দেয়। এতে মৃত্যুর খবর গোপন
রাখা হয়,
যার জেরে সংকট দেখা দেয়। এসব নথিতে নেতাজীর স্ত্রী ও
মেয়ের কিছু ফাইলও উপস্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এআইসিসি
নেতাজির কন্যাকে বার্ষিক ৬০০০ টাকা পাঠাত।
১৯৬৫ সালে তাঁর বিয়ের পর এই
অর্থানুদান বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে তার মেয়ে কোনও টাকা নিতে অস্বীকার করেছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফাইল আবার ভিন্ন কথা বলে। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন
৬৪টি ফাইল প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় নেতাজি
বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। এই মুহূর্তে লোকেরা বিশ্বাস করে যে অনেক ফাইল এখনও
সামনে আসেনি। আরেকটি দাবি হল ১৯৬৬ সালের
১১ জানুয়ারি রাশিয়ায় তাসখন্দ চুক্তিতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুও উপস্থিত ছিলেন।
এই কারণে তার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য।
endulky
Jun 05, 2023 03:30 [IST]endulky
May 28, 2023 17:31 [IST]Preelia
May 19, 2023 07:55 [IST]igniguaps
May 17, 2023 06:22 [IST]Preelia
May 10, 2023 20:03 [IST]thapsit
Apr 21, 2023 06:50 [IST]glIlmer
Mar 17, 2023 22:45 [IST]Pealock
Feb 05, 2023 19:42 [IST]Pealock
Feb 05, 2023 02:57 [IST]Pealock
Jan 27, 2023 00:25 [IST]