‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।’- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর এ উক্তি সকলকে জানান দেয় যে তিনি কতটুকু তেজস্বী নেতা
ছিলেন তিনি। সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা
সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি বর্তমান ওড়িশা
রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ ভাগাও আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র
ছিলেন মহাত্মা গান্ধির বিপরীত মতাদর্শি। তিনি মনে করতেন গান্ধীজির অহিংসার নীতি
ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের
পক্ষপাতী ছিলেন। দেশের জন্য তাঁদের প্রাণ দেওয়া। তাঁদের আত্মবলিদান থেকে শুরু করে
তাঁদের সংগ্রামের কথা সকলেই জানেন। তবে অনেকেই জানেন না সুভাষচন্দ্র বসু একেবারে
আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন। তাঁর মধ্যে একেবারেই কোনও আড়ম্বর
ছিল না। ধুতি পঞ্জাবি পরা নেতাজি থেকে স্যুটবুট পরা আজাদ হিন্দ ফৌজের নায়ক নেতাজি
সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু ছিলেন একেবারে আম বাঙালি। বন্ধুদের সঙ্গে সন্ধ্যার আড্ডাতে
মুড়ি- তেলেভাজা আর চায়ের কাপে তর্ক করতে ভালবাসতেন তিনি।
আরও পড়ুন: Gilgit Baltistan: উত্তপ্ত PoK, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিতে গণবিক্ষোভ গিলগিট-বালটিস্তানে
আরও পড়ুন: Subhas Chandra Bose: এক লক্ষ টাকার নোটে ছাপা হয়েছিল নেতাজীর ছবি, সেও এক ইতিহাস
সুভাষ কিন্তু আদ্যপান্ত বাঙালি
মেজাজের ছিলেন। পাড়ার তেলেভাজার দোকানে চপ মুড়ি, বেগুনি, পেঁয়াজি খেতে খেতেই জমে উঠত তাঁর
তর্ক। শোনা যায় কলকাতা শহরের যে তেলেভাজার দোকানে বসে চপ মুডি খেতে খেতেন তিনি, তাই প্রতিবছর নাকি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন বড় করে
উদযাপন করে থাকে। ১৯১৮ সালে তৈরি হয়েছিল সেই লক্ষ্মী নারায়ণ শ অ্যান্ড সন্স। সেই
দোকানর তেলেভাজা খেতে পছন্দ করতেন সুভাষ। নেতাজির জন্মদিনর দিন ফ্রিতে তেলেভাজা
বিলি করে থাকে এই দোকানটি।