ভারতীয় ক্যালেন্ডার জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
যার ভিত্তি চাঁদ। চাঁদ মনের কারক। পৃথিবীর কাছাকাছি বা দূরে এর অবস্থান এবং সূর্যের
আলোয় আলোকিত হওয়ার বিষয়টি শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণীকেও প্রভাবিত করে। চাঁদ
যখন যখন বিশেষ কোনও একটি নক্ষত্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তখন জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় এটিকে চাঁদের নক্ষত্র বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাজকুমার সিদ্ধার্থ কীভাবে হয়েছিলেন সন্ন্যাসী বুদ্ধ- বুদ্ধপূর্ণিমার প্রাক্কালে জেনে নিন আকর্ষণীয় তথ্য
মাসগুলি ঋষি এবং জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
পূর্ণিমাকে চাঁদের সবচেয়ে শক্তিশালী তারিখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনে চন্দ্র
নিজের সমস্ত সত্ত্বাকে ছড়িয়ে দেয়। এই দিনে যে নক্ষত্রের সঙ্গে চঁদ উদিত হয়, সংশ্লিষ্ট
মাসটিকে সেই নামে সম্বোধন করা হয়। যে পূর্ণিমার চাঁদে চিত্রা নক্ষত্র উদিত হয়, সেই
মাসকে বলা হয় চৈত্র। পরের পূর্ণিমার নক্ষত্রটি হবে বিশাখা, তখন সেই মাসটিকে বৈশাখ
বলা হয়।
একইভাবে জ্যৈষ্ঠ থেকে জ্যৈষ্ঠ, পূর্বাষাঢ় থেকে আষাঢ়, শ্রাবণ
থেকে শ্রাবণ ইত্যাদি। কখনও কখনও বছরে ১৩ মাস থাকে। এ অবস্থায় একই নামে দুই মাস হয়।
সেই বছরকে বলা হয় অধিক মাস। একই নামের দুই মাস থাকার কারণ হল এর দুটি পূর্ণিমা একই
নক্ষত্র দ্বারা পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: সামনেই বুদ্ধ পূর্ণিমা, জেনে নিন এই তথ্যগুলি
একইভাবে কোনও কোনও বছর ক্ষয়মাসেরও হয়। অর্থাৎ এগারো মাসে
হয় সেই বছর। ক্ষয় মাসের পূর্ণিমায় পূর্ববর্তী অর্থাৎ পশ্চাৎপদ নক্ষত্রের উদয় হয়।
এই কারণে এক মাস কমে হয়। এই সূক্ষ্ম সংকল্পের কারণে চান্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষের সামঞ্জস্য
বজায় থাকে। সৌর বছর ৩৬৫.২৫ দিনের এবং চান্দ্র বছর ৩৫৪দিনের। এই কারণেতিন বছর
অন্তর এক মাসের পার্থক্য থাকে। অধিক মাস এই পার্থক্য কমায়।