সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলকে জয় এনে দিলেন রিচার্লিশন। গত বৃহস্পতিবার
রাত জাগা স্বার্থক হয়েছে অসংখ্য ব্রাজিল সমর্থকের। এই দিন ম্যাচের ৭৩ মিনিট নাগাদ ব্যাকভলি
মেরে করা তাঁর গোলটি এখনও চোখে ভাসছে সমর্থকদের। এদিন ব্রাজিলকে জয় এনে দেওয়া ছেলেটিকে
একটা সময় রাখা হয়েছিল ‘গান পয়েন্টে’, সে দিন ‘ট্রিগার’ টিপে দিলে হয়তো এই আনন্দ উপভোগ
করতে পারতেন না কয়েক লক্ষ ফুটবলপ্রেমী।
‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম’ হয়নি রিচার্লিশনের। নোভা ভেনেসিয়ার একটি দরিদ্র
পরিবারে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন তিনি। বাবা ছিলেন এক রাজমিস্ত্রি এবং মা বিক্রি করতেন আইসক্রিম
আবার কখনও লজেন্স। রিচার্লিশন তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নন। পাঁচ ভাই বোনদের
মধ্যে বড় তিনিই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ছোট থেকেই দায়িত্ব এবং কর্তব্য কী, তা আলাদা করে
বোঝাতে হয়নি রিচার্লিশনকে।
বাবা-মা'র আয় দিয়েও দু'বেলা পেট ভরা খাবার পেতেন না রিচার্লিশন'রা। বেশিরভাগ
সময়তেই খিদে চেপে রেখে ঘুমোতে যেতে হত তাঁকে এবং তাঁর বাবা-মা'কে। বাড়ির বড় সন্তান
বলে কথা! তাই কারও অনুমতি ছাড়া নিজে থেকেই শুরু করে কাজ করা। কিন্তু কীসের কাজ করবেন?
কে-ই বা কাজে নেবে? বিভিন্ন রকম প্রশ্ন তখন কুরেকুরে খাচ্ছে ১৪ বছর বয়সী রিচার্লিশনকে।
বাধ্য হয়ে একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, গাড়ি পরিষ্কার করবেন।
পাড়ায় ধনী ব্যক্তিদের গাড়ি পরিস্কার করে কিছু অর্থ উপার্জন করতেন। কিন্তু
১৪ বছরের একটা ছেলেকে কে-ই বা বেশি মাইনে দেবে! যা পেতেন, তা দিয়ে দুই এক জনের হয়তো
লজেন্স খরচা ওঠে। তাই গাড়ি পরিষ্কার হয়ে গেলে চুপ করে বসে থাকতেন না ছোট্ট ছেলেটি।
এ পাড়া থেকে ও পাড়ায় গিয়ে বিক্রি করতেন মায়ের থেকে নেওয়া লজেন্সগুলো। কিন্তু একদিন
হঠাৎই মৃত্যুর মুখে পড়ে গিয়েছিলেন রিচার্লিশন।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো'কে ছেড়ে দেওয়ার পরই ক্লাব বিক্রি করতে চাইছেন ম্যান ইউয়ের মালিক!
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের! সৌদির বিরুদ্ধে হারার পর 'আমরা মৃত' বার্তা মেসির
নোভা ভেনেসিয়া'য় তখন মাদক ব্যবসায়ীদের রমরমা ছিল। রিচার্লিশনের বেশ কিছু
বন্ধুও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাড়ার রাস্তায় ফুটবল খেলার সময় আচমকাই তাঁকে গ্রেফতার
করে নিয়ে যায় একদল মাদক ব্যবসায়ী। তারা মনে করে রিচার্লিশন তাদের মাদক চুরি করেছেন।
সেই কারণে তাঁর মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই প্রসঙ্গে রিচার্লিশন বলেছিলেন,
“আমার অধিকাংশ বন্ধু মাদক বিক্রি করত। যাতে সহজে অনেক অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু আমি এ
সব কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইনি কখনও। তাই আমি চকলেট, লজেন্স আর আইসক্রিম বিক্রি করতাম।
গাড়ি পরিষ্কার করতাম। এতে আমার বাবা-মায়ের একটু সাহায্য হত। আমাকে যখন গ্রেফতার করা
হয়েছিল তখন আমি খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না শুধু কাঁদছিলাম।
ভাগ্য ভাল ওরা আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল।” এর পর একদিন একটি মাঠে ট্রায়াল দিয়ে ফুটবল খেলতে
শুরু করেন রিচার্লিশন। এর পরই রোমাঞ্চিত মোড় নিল তাঁর জীবন। পরিশ্রম, জেদ এবং ইচ্ছেশক্তির
জেরে হয়ে উঠলেন নায়ক। এইভাবেই কি আবির্ভাব ঘটে নায়কদের!
qvJLqAOCm
Aug 05, 2023 15:00 [IST]BQZMSh
Jul 12, 2023 21:56 [IST]Bloohopsy
Jun 26, 2023 00:40 [IST]endulky
Jun 09, 2023 11:26 [IST]endulky
Jun 03, 2023 00:49 [IST]thapsit
Apr 28, 2023 16:56 [IST]