প্রায় ২০ বছর আগে শেষ বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। ২০০২ সালে কাফু নেতৃত্বাধীন ব্রাজিলিয়ান দলটি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। সে বার রোনাল্ডো নাজারিও'র চুলের স্টাইল দেখে অবাক হয়েছিলেন গোটা বিশ্ববাসী। মাথার সামনে ত্রিভুজ বা অর্ধগোলকের মতো দেখতে চুলের স্টাইল, বাকি মাথায় চুল নেই। তবে এটি কোনও স্টাইল নয়, বরং নিজেকে বাঁচানোর একটি পন্থা।
২০০২ সালের ব্রাজিলের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বিরাট ভূমিকা রয়েছে রোনাল্ডোর। তিনি সেমি ফাইনালে গোল করেছিলেন। ফাইনালেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আশা যাক মূল বিষয়টিতে, ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর এই রকম চুলের স্টাইল দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তরুণ ফুটবলপ্রেমীরা। অনেকে তাঁর অনুকরণ করেও এই কায়দায় চুল কাটিয়েছিলেন। সেই সময় প্রত্যেকের মুখেই একটাই চর্চা, ভদ্র-শান্তশিষ্ট প্রকৃতির রোনাল্ডো হঠাৎ এই রকম চুল কাটালেন কেন?
২০০২- এর বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পেয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। প্রত্যেকেই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তিনি আদৌ সেমি ফাইনাল খেলতে পারবেন কি না। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকেও তাঁর সাক্ষাৎকার পাওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছিল, প্রশ্ন তখন একটাই রোনাল্ডো কি সেমি ফাইনাল খেলবেন না। মাঠের বাইরে জগতের এই 'চাপ' নিতে পারছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাই অনুরাগীদের নজর ঘুরিয়ে দিতেই এই রকম ভাবে চুল কেটেছিলেন রোনাল্ডো। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি ফিফার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "যে দিকেই যাচ্ছি, প্রত্যেকেই আমার পায়ের চোট নিয়ে প্রশ্ন করছিল। সকলে জিজ্ঞাসা করছিল, আমি আদৌ সেমি ফাইনাল খেলতে পারবো কি না। আমি তাদের জবাব দিতে দিতে কার্যত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। খেলতে পারছিলাম না ভাল ভাবে। তাই এই রকম ভাবে চুল কেটে ফেলি। আমি সতীর্থদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ওরা বলেছিল, 'এটা ভয়ঙ্কর চুলের স্টাইল। এটাকে বেশি দিন রেখো না।'" ব্রাজিলের তারকার চুলের কেরামতি দেখে অনেকেই তাঁর মতো চুল কেটেছিলেন, সেই কারণে পরিবারের থেকে বকাও খেয়েছিলেন অনেকে। তা বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। তিনি বলেন, "আমি সকলের থেকে ক্ষমা চেয়েছিলাম, বিশেষ করে মায়েদের কাছে। কারণ অনেক ছেলেই তখন আমার মতো চুল কেটেছিল।"