বিতর্কের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করার আগেই ফিফা জানিয়ে দিয়েছিল, যে দেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সে দেশের নীতি এবং সংষ্কৃতিকে সম্মান জানাতে হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী গত সোমবার মধ্যরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েলস। এই দিন রামধনু রঙের টুপি পরে থাকার কারণে সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার আগেই বাধা দিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কেন জানেন?
কাতারে সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। অথচ ইউরোপের দশটি দেশ সমকামী প্রেমের সমর্থনে লড়াই করছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেও এই লড়াই জারি রাখার জন্য সাতটি ইউরোপীয় দেশের অধিনায়ক হাতে সাতরঙা একটি আর্মব্যান্ড(ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড) পরার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই খবর পেয়েই খেলোয়াড়দের হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থাটি। জানানো হয়, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে মাঠে নামার আগেই ওই সকল দেশের অধিনায়কদের হলুদ কার্ড দেখানো হবে। তাই ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন, নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক সহ আরও অনেকেই এই বিশেষ আর্মব্যান্ড পরার ইচ্ছে ত্যাগ করেন।
সমকামিপ্রেমের বিরোধীতা বজায় থাকল স্টেডিয়ামের বাইরেও। এই দিন ওয়েলসের সমর্থকরা সাতরঙা টুপি পরে খেলা দেখতে আসার কারণে স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল তাদের। নিরাপত্তা রক্ষীরা এই টুপি খুলে ফেলার কথাও বললেন। ওয়েলসের এক মহিলা সমর্থক এই প্রসঙ্গে বলেন, "ওরা আমাকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দিচ্ছিল না। এই টুপি পরে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না বলে জানাল ওরা। আমি দুই একবার চেষ্টা করলাম কিন্তু প্রত্যেকবারই একই কথা বলছিল ওরা।" উল্লেখ্য বেশ কয়েকটি এলজিবিটিকিউ সংস্থা সমকামী প্রেমের সমর্থনে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আর এই সমস্ত সংস্থাগুলিকে সমর্থন করছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ড এবং ওয়েলসের মতো দেশগুলি।