গত সোমবার রাতে সেনেগালের মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এই দিন একেবারে সাদামাটা ফুটবল খেলল 'দ্য অরেঞ্জ'। শুধু তাই নয় ম্যাচের শুরু থেকেই একাধিক ফাউল 'বিশেষ' নজর কাড়ল তারা। একাধিক গোলের সুযোগও নষ্ট করলেন ডি জংয়ের মতো খেলোয়াড়রা। এর পর শেষ ছয় মিনিটে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হল। সাদিও মানে'র অনুপস্থিতিতে তাদের দলকে ২-০ গোলে হারাল নেদারল্যান্ডস।
এই দিন ম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল ফুটবল খেলতে দেখা গেল সেনেগাল'কে। যেমন আক্রমণে ধার ছিল, ঠিক তেমনই অপ্রতিরোধ্য ছিল ডিফেন্স। সেনেগালের মতো দলের বিরুদ্ধেও তাদের এমন পরিকল্পনা নাজেহাল করে দিচ্ছিল নেদারল্যান্ডসকে। প্রথমের দিকে বেশ চাপের মধ্যেই ছিলেন ডি লিঘট-ভার্জিল ভ্যান ডাইক'রা। স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে না পেরে একাধিক ভুল করতেও দেখা গেল তাদের। সক্রিয় হয়ে উঠতে পারলেন ডি জং'ও। এই সুবাদে প্রথমার্ধের শেষে গোলশূন্য ফলাফল নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এসেও শুরুর দিকে খেলায় বিশেষ উন্নতি চোখে পড়েনি ডাচ ফুটবলারদের। দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ২৬ টি ফাউল করলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এই দিন গোল লক্ষ্য করে মোট ১০টি শট নেন ডাচ দলটি। যার মধ্যে মাত্র তিনটি গোলের মধ্যে রাখতে সক্ষম হন নেদারল্যান্ডস ফুটবলাররা। ৮৪ মিনিট নাগাদ গোলের দেখা পেলেন তাঁরা। বক্সের বাইরে থেকে ডি জংয়ের বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বলটিকে জালে প্রবেশ করান গ্যাকপো। এই সুবাদে এক গোলের লিড নেন তাঁরা। এর পর নির্ধারিত সময়ের শেষে ১১ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন ম্যাচ রেফারি। খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট(৯০+৯ মিনিট) আগে ব্যাবধান দ্বিগুন করে নেদারল্যান্ডস। বক্সের ভিতর থেকে ডান পায়ে মারা মেম্ফিস ডিপে'র জোরালো শট সেভ দেন বিপক্ষের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে শট মারেন ড্যাভি ক্লাসেন, যেটি গোলরক্ষকের হাতে লেগে গোলে প্রবেশ করে। এই সুবাদে ২-০ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে 'দ্য অরেঞ্জ'।