হার্ট অ্যাটাক দিন,
ক্ষণ, মাস, বছর দেখে আসে না, তবুও অধিকাংশ মানুষ
হৃদরোগে আক্রান্ত হন সোমবার। এই তথ্য
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ
কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলনে হার্ট অ্যাটাক সংক্রান্ত এই গবেষণাগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,
সবচেয়ে বিপজ্জনক হার্ট অ্যাটাক হল STEMI
(সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন)। এটি
সোমবার বেশি ঘটে। এটি শরীরের একাধিক ধমনীকে ব্লক করে দেয়। STEMI-তে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে
অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হৃৎপিণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: স্বর্গ না নরক, মৃত্যুর পর আপনার আত্মা কোথায় স্থান পাবে? জেনে নিন গরুড় পুরাণ এ সম্পর্কে কি বলে
সোমবারের উত্তেজনা একটা বড় কারণ
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য
দিনের তুলনায় সোমবার ১৩ শতাংশ বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,
সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার সবচেয়ে চাপের দিন। মানুষ কাজে
ফিরে অন্য দিনের তুলনায় বেশি চাপ নেয়। এই কারণে সোমবার বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়। এর
পাশাপাশি, রবিবার
থেকে সোমবারের মধ্যে মানুষের ঘুমের চক্র, অর্থাৎ ঘুমানো এবং জেগে ওঠার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়,
যা কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়।
আরও পড়ুন: চাকরি খুঁজছেন? উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা থাকলে আজই আবেদন করুন এই বিভাগে, বেতন পাবেন ২৩ হাজার টাকা
অন্য গবেষণা কি বলে?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের
গবেষণা আরও বলে যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সোমবার হয়। এটাও বলা হয়েছে যে মানুষ সবচেয়ে বেশি হৃদরোগে
আক্রান্ত হয় শীতকালে।
ভারতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু,
বিশেষ করে তরুণদের
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল
রিসার্চ অনুসারে, ভারতে
প্রতি বছর যে সমস্ত লোক মারা যায় তাদের মধ্যে প্রায় ২৮.১ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়।
আজকাল বয়সে যুবক যারা নিয়মিত জিমে যায়,
স্বাস্থ্যকর রুটিন যাপন করে তাদেরও হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, গত ১০ বছরে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। মারা যাওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স ৪৫ বছর বা তার কম।
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ
খানা পিনার কুঅভ্যাস
ঘুমের ব্যাঘাত মানে খারাপ জীবনযাপন
তামাক ব্যবহার
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
উচ্চ রক্তচাপ
সুগার
স্থূলতা
অস্বাভাবিক কোলেস্টেরলের মাত্রা
(ডিসলিপিডেমিয়া)
কোথায় এই গবেষণা সঞ্চালিত হয়েছে
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি
প্রতিবেদন অনুসারে, এই
গবেষণাটি বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্ট এবং আয়ারল্যান্ডের
রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস-এর চিকিৎসকরা করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের ধরণ বোঝার জন্য
প্রায় ২২ হাজার
মানুষের উপর গবেষণা করা হয়েছিল। হার্ট অ্যাটাকের কারণে এই সমস্ত লোককে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে
হয়েছিল।