মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, তাঁর কোনও
বিকল্প হয়নি কোনওদিন। এই মানুষটি স্টাইল স্টেটমেন্ট থেকে শুরু করে অভিনয় সব
ক্ষেত্রেই এক অন্য রকমের ছোঁয়া রেখে গিয়েছেন। যে সময় মেয়েরা স্বামী, সন্তান, সংসারের
ঊর্ধ্বে কিছুই ভাবতে পারতেন না সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সুচিত্রা তৈরি করে ফেলেছিলেন
নিজের অনন্য অস্তিত্ব। ছয়ের দশকে মানুষের পাবলিসিটি স্টান্ট নিয়ে বিন্দুমাত্রও
ধারণা ছিল না। অথচ ততদিনে পাবলিসিটি স্টান্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন মহানায়িকা।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে
সাকুল্যে দুটি সিনেমা সুচিত্রার। এক,
‘সাত পাকে বাঁধা’, দুই, ‘প্রণয় পাশা’। উত্তমের
বিপরীতে অভিনয় করতে দেখে আসা দর্শক কীভাবে সৌমিত্রর সঙ্গে সুচিত্রা সেন’কে নেবেন তা
নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন পরিচালকও। অথচ সাত পাকে বাঁধা তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন
সুচিত্রা সেন।
এর পরেই হয় এক পার্টি। ‘সাত পাকে
বাঁধা’র সাফল্যে উৎফুল্লিত সৌমিত্র এলেন পাঞ্জাবী-পাজামাটে। এর মধ্যেই
সুচিত্রা ঘটিয়ে বসলেন এক কাণ্ড। হাসতে হাসতে প্রথমে এগিয়ে এলেন সৌমিত্র
চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। তারপর কিছু না বলে এক টানে ছিঁড়ে ফেললেন ‘ফেলুদা’র পাঞ্জাবী।
সকলে অবাক! ব্যাপারটি হাসির ছলেই নিলেন সৌমিত্র। তিনিও তো বুঝতে পারছেন না ‘খামখেয়ালি’ সুচিত্রা ঠিক
কী করতে চাইছেন। আসলে ‘সাত পাকে বাঁধা’তেও এই একইরকমের একটি দৃশ্য ছিল। সেদিন পার্টিতে সেই
দৃশ্যেরই পুনর্চিত্রায়ণ ঘটেছিল উত্তম কুমারের প্রিয় রমার হাত ধরে। এর নামই তো
পাবলিসিটি স্টান্ট।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: হওয়ার কথা ছিল সন্ন্যাসী, হলেন প্রধানমন্ত্রী- নরেন্দ্র মোদির ভাগ্য আর আত্মবিশ্বাস সত্যিই অনেক কিছু শেখায়
প্রসঙ্গত, সুচিত্রা
সেনের আগে আর এক বাঙালি অভিনেত্রী শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার
পেয়েছিলেন। তিনি ‘পথের পাঁচালি’র ইন্দিরা ঠাকুরন ননীবালা দেবী।