পশ্চিমবঙ্গে আসতে আসতে ঢুকছে শীত। তাই এই মরসুম বদলের
সময় প্রত্যেক বাড়িতে লেগেই থাকে জ্বর-সর্দি-কাশি। আর পুজোয় খুব অনিয়ম হয়েছে। রাত জেগে ঠাকুর দেখার ফলে হিম পড়েছে মাথায়। সেই সঙ্গে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম খাওয়া তো রয়েছেই। সেখান থেকেই গলা ব্যথা, হাঁচি শুরু হয়েছে অনেকেরই। একেবারে পাশে বসা সহকর্মীর ঘন ঘন নাক টানার আওয়াজও
কানে আসছে। ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেরই প্রথম ভরসা ওষুধ। ওষুধ খানিকটা ঠিক করলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পান করতেই হবে এই তিন টনিক। জেনে নিন
সেগুলো কী জিনিস।
তেঁতুল দেখলেই জিভে জল আসে, কিন্তু এই বিষয়গুলি মেনে না খেলেই বিপদ
তুলসী টনিক
বাড়িতে তুলসী পাতা থাকলে সর্দি-কাশি
নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও মানে নেই। তুলসীর মতো উপকারী পাতা খুব কমই রয়েছে। সকালবেলা উঠে যদি দেখেন গলা ব্যথা করছে বা গা ম্যাজম্যাজ করছে, তুলসী আর মধু দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। খেলে উপকার পাবেন হাতেনাতে।
গোলমরিচ এবং মধুর টনিক
মধু এবং গোলমরিচ— দুই-ই ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত স্বস্তি দেয়। গোলমরিচে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কী
ভাবে বানাবেন এই পানীয়? এক কাপ গরম জলে
গোলমরিচ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। গলা খুসখুস থেকে নাক টানা, সবেরই সমাধান লুকিয়ে এই পানীয়ে।
Cooking Tips: নিজের অজান্তে মাছের ঝোল পাতলা হয়ে গিয়েছে, হেঁশেলের এই সমস্ত উপাদানেই মিলবে মুক্তি
আদা এবং লেবুর টনিক
সর্দি-কাশি কমানোর আরও একটি কার্যকরী
ওষুধ হল এই টনিক। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং
উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আদা কুচি, গোলমরিচ এবং আধ কাপ মতো লেবুর রস মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন।
মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার খেতে পারলে সত্যিই মিলবে সুফল।