অনেক সময় মানুষ অল্প অল্প করে খায়, কিন্তু কিছুতেই সেই খাবার হজম করা যায় না। লিভারের দুর্বলতার কারণে এমনটা হয়। লিভার খাদ্য হজম করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিভার দুর্বল হলে ক্ষুধামন্দ, অনিদ্রা, বমি, দুর্বল বোধের মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদী লিভারের ক্ষতিও লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিভারে ব্যাঘাত ঘটলে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। ভাইরাল ইনফেকশন, মদ্যপান এবং স্থূলতার মতো যেকোনও কিছুর কারণে লিভারের রোগ হতে পারে। সমস্যা গুরুতর হলে লিভার ফেলিওরও হতে পারে। তবে সময় মতো চিকিৎসা করালে সমস্যাও সেরে যায়।
লিভার খারাপ হলে বেশ কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয় শরীরে যেগুলো আপেক্ষিকভাবে দেখলে গুরুতর মনে নাও হতে পারে। যেমন- ত্বক বা চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা বা ফোলাভাব, পা এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব গাঢ় হওয়া, ক্ষুধা হ্রাস, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, সবসময় ক্লান্ত লাগা।
লিভার সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধের উপায় অ্যালকোহল: আপনার যদি লিভারের রোগ ধরা পড়ে তবে আপনাকে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যালকোহল লিভারের জন্য ভাল নয়।
ওজন: লিভার সংক্রান্ত রোগের অন্যতম কারণ হল স্থূলতা। ভাল খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এইসব রোগ এড়ানো যায়।
যে কোনও ওষুধ সেবন: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। যে কোনও ওষুধ সেবন করলে তা সরাসরি লিভারে প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্যবিধি: খাওয়ার আগে হাত ভাল করে ধুতে হবে। হাত ভাল করে ধুয়ে রান্না করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে খাদ্য দূষিত হতে পারে এবং যকৃতের রোগ হতে পারে।