প্রতিটা বাবা-মা’র আশা থাকে বুড়ো বয়সে সন্তানরা তাঁদের আদর-যত্নে
রাখবে। ছোট থেকে তাঁরা যেভাবে সব ভালটুকু দিয়ে সন্তানকে মানুষ করার চেষ্টা করেছে, সন্তানও
তাঁদের সেভাবেই তুতেবাতে রাখবেন। ছেলে হলে তো কথাই নেই। আদর আরও বেশি। তবে বহু ক্ষেত্রে
এভাবেই ছেলেরা বাবা-মাকে দেখে রাখেন, তাঁদের ভাল-মন্দ দেখেন। কিন্তু উলটো ছবিটাও দেখা
যায়। যেখানে সন্তান বাবা-মাকে আদর-যত্ন করা তো দূর মুখও দেখে না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী
রাশি দেখে বোঝা যেতে পারে সন্তান কেমন হবে?
মেষ- নিজেদের লক্ষ্যে
অনড় থাকেন এঁরা। কিন্তু এঁরা নিজের পরিবারকে খুব বেশি ভালবাসেন। এ কারণে এঁরা পরিবারের
ভালবাসার সঙ্গে আপোস করে স্বপ্নপূরণের পিছনে দৌঁড়ন না। তবে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে
এই রাশির জাতকরা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু দিনের শেষে মা-বাবার আনন্দই তাঁদের
কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বৃষ- নিজের আনুগত্যপূর্ণ
স্বভাবের জন্য পরিচিত। এই রাশির জাতকরা জেদি ও অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্বের হয়ে থাকেন।
এ কারণে এঁরা ঘুরপথে নিজের মা-বাবাকে আনন্দিত করার চেষ্টা করেন। তবে নিজের ভালবাসার
মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার কৌশল এঁদের কমই জানা আছে। অভিভাবকদের জন্য এঁরা সরাসরি
কিছু করেন না। কিন্তু গোপনে তাঁদের ভাল রাখার সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যান।
মিথুন- জ্যোতিষ বলছে মিথুন
রাশির ছেলেরা নির্লজ্জ। এঁরা খুব বেশি কথা বলেন। এঁরা নিজের স্বভাবের দ্বারা অভিভাবকদের
আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারেন। মা-বাবাকে কী ভাবে খুশি রাখা যায়, সে সবই দেখে রাখেন এঁরা।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তবে মিথুন জাতকরা অভিভাবকরদের যতটা আনন্দিত রাখেন তাঁদের পথে
ততটাই বাধা সৃষ্টি করেন। মিথুন জাতকরা নিজের মা-বাবাকে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মুখে
এনে দাঁড় করিয়ে দেন।
কর্কট- কর্কট রাশির ছেলেকা
অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। নিজের অন্যান্য পুরুষ বন্ধুদের মধ্যে এঁরা সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল।
জ্যোতিষ বলছে নিজের এই স্বভাবের কারণে তাঁরা মা-বাবার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝতে
পারেন। মা-বাবার মনের প্রতিটি কথা অনুভব করতে পারেন এই রাশির জাতকরা।
সিংহ- জ্যোতিষ বলছে সিংহ
রাশির জাতকরা নিজের মা-বাবার ওপর আধিপত্য বিস্তার করেন। এমনকি প্রতিটি বিষয়ে নিজের
মতামত প্রকাশ করে থাকেন এঁরা। আপনার সন্তান যদি সিংহ রাশির জাতক হয় তা হলে বাড়িতে
বিবাদ, মতভেদ লেগেই থাকবে। তবে এরা নরম মনের মানুষ।
কন্যা- অত্যন্ত বিবেচানাপূর্ণ
হয়ে থাকেন কন্যা রাশির ছেলেরা। নিজের মা-বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে থাকেন এঁরা। পাশাপাশি
পারিবারিক কোনও বিষয়েই এঁদের নজর এড়ায় না। ঘরের সমস্ত কাজের প্রতি এঁদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
থাকে।
তুলা- তুলা রাশির জাতকরা
ভারসাম্য ও স্থায়ীত্বের খোঁজে থাকেন। নিজের জীবন ও পরিবার উভয়ক্ষেত্রেই এই রাশির জাতকরা
স্থায়ীত্ব এবং ভারসাম্যকেই গুরুত্ব দেন। বাড়িতে কোনও ঝগড়া বা বিবাদ বাঁধলে এঁরা সবসময়
মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
বৃশ্চিক- বৃশ্চিক রাশির জাতকরা
আবেগপ্রবণ ও স্নেহময়। জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে চলাই এঁদের কাছে সব। কিন্তু
নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে গিয়ে এঁরা অনেক সময় নিজের অভিভাবকদেরই ভুলে যান। কিন্তু বাড়িতে
থাকলে বা মা-বাবার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে এঁরা পুরো সময় তাঁদের যত্ন নিতে ব্যস্ত থাকেন।
মা-বাবাকে কী ভাবে ভাল রাখা যায়, তখন তা-ই হয় তাঁদের মূল লক্ষ্য।
ধনু- ধনু রাশির ছেলেরা
অনেকটা মেষ রাশির ছেলেদের মতোই। এঁরা অ্যাডভেঞ্চর প্রেমী এবং স্বতঃস্ফূর্ত। নিজের এই
স্বভাবের জন্য ধনু জাতকরা অনেক সময় পারিবারিক দায়িত্বও উপেক্ষা করে যান। কিন্তু ঠিক
এর বিপরীতে এঁরা যদি পরিবারের সঙ্গে থাকেন তা হলে মা-বাবার যত্ন নিতে ও তাঁদের ভাল
রাখার জন্য যে কোনও সীমা অতিক্রম করে যান।
মকর- বাস্তবিক হন। নিজের
পেশা বা কাজকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসেন এঁরা। এ কারণে মকর রাশির জাতকরা নিজের পরিবারের
জন্য প্রচুর আয় করে থাকেন। কিন্তু পরিবারের আবেগপ্রবণ চাহিদা পূরণ করা এঁদের পক্ষে
সম্ভব নয়। কিন্তু এঁরা নিজের মতো করে মা-বাবাকে সুখে রাখার চেষ্টা করেন।
কুম্ভ- এই রাশির জাতকরা
স্বাধীন ও বন্ধনমুক্ত থাকতে ভালোবাসেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এঁরা স্বাধীনতা ও উদারতাই
পালন করে চলেন। কোনও দায়িত্বের বন্ধনে বাঁধা পড়তে এক্কেবারেই ভালবাসেন না এঁরা। কিন্তু
এরই পাশাপাশি লক্ষ্য রাখেন যে, তাঁদের কারণে যাতে মা-বাবা বা পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের
মধ্যে কোনও অসন্তুষ্টি দেখা না দেয়।
মীন- এই রাশির ছেলেরা
উপযুক্ত, স্নেহময়। প্রতিটি মা-বাবা ঠিক যেমন সন্তান কামনা করেন মীন রাশির ছেলেরা ঠিক
তেমনই। নিজের মা-বাবাকে আবেগপ্রবণ ভাবে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করেন এরা। মা-বাবার প্রতিটি
চাহিদার প্রতি এঁদের তীক্ষ্ণ নজর থাকে। সেই চাহিদা পূরণ করতেও তত্পার থাকেন এই রাশির
ছেলেরা