চুল পড়ার সমস্যা সার্বজনীন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব মরসুমেই চুল ঝরার সমস্যা দেখা যায়। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অত্যধিক মানসিক চাপ ও দূষণের জেরে চুলের বারোটা বাজে। এই সব কারণেই চুল ঝরতে শুরু করে। একাধিক নামীদামী ওষুধ, ট্রিটমেন্ট করেও সমাধান আর মেলে না। চুল আঁচড়াতেই হু হু করে ঝরে পড়ে গোছা গোছা চুল। আপনি হয় তো ভাবছেন আপনার অযত্নের কারণে পড়ে যাচ্ছে চুল। কিন্তু হয়তো কারণটা ভিন্ন। আপনার অজান্তেই হয়তো শরীরে বাঁসা বেঁধেছে রোগ, যার ফলস্বরূপ ঝরে যাচ্ছে চুল। কী কী রোগ শরীরে ঢুকলে চুল পড়ে যায়- 

অ্যালোপেশিয়া: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিক্‌লগুলি আক্রমণ করে, তাকে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া অ্যারেটা। মাথার তালু এবং মুখেই এই রোগের প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো টাক হয়ে যায়। এমনকি, ভুরুও ঝরতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: Friday Remedies: মা লক্ষ্মী সর্বদা থাকবে সহায়, প্রতি শুক্রবার করুন এই কাজগুলি

আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে হামের উপদ্রব, কোন লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হবেন

এক্সিমা এবং পোরিওসিস: এই দু’টি রোগই প্রদাহজনিত। আর এই রোগ শরীরে বাঁসা বাধলে অকালে ঝরতে থাকে চুল। এই রোগের কারণে চুলকানি, র‍্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

থাইরয়েড: থাইরয়েড রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম— উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে। ভুরুও পাতলা হয়ে যায়।

পিসিওডি: অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যায় ভোগেন। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে মূলত এই সমস্যা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।