সম্প্রতি হামের উপদ্রব বেশ বেড়েছে। মুম্বাইয়ে হাম ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়
কিছু এলাকার পরিবেশ ভয়াবহ আকার ধারণা করেছিল। ১২ জন শিশুকে এই রোগের কবলে পড়ে প্রাণ
হারাতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। সাধারণত টিকা দিলে হাম
আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। তবে গত দুই বছর সারা বিশ্বের পরিস্থিতি ছিল টালমাটাল।
তাই নিয়মিত টিকাকরণও ব্যাহত হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপর। টিকা নেওয়ার পরও
সুস্থতার হার আশানুরূপ নয়। দেখে নিন কোন কোন উপসর্গ দেখলে আগে থেকেই সতর্ক হবেন-
ধুম জ্বর ও দ্রুত
শ্বাস: হাম ভাইরাস মূলত একটি বিশেষ ধরনের জ্বর। এই জ্বরে তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৪
ডিগ্ৰি ফারেনহাইটও ছুঁতে পারে। এছাড়াও জ্বর কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এমনটা দেখলে
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই সময় শ্বাসের গতিও বেড়ে যায়।
ভারী শ্বাসের আওয়াজ: শ্বাস নেওয়ার সময়
ভারী ও আওয়াজ হয়। মূলত ভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এটিও হামের
একটি লক্ষণ।
আরও পড়ুন: আজ উদয় হতে চলেছে বুধ, সৌভাগ্যের দ্বার খুলবে এই রাশির জাতকদের
আরও পড়ুন: বার বার চাকরিতে বাধা? সাফল্য পেতে বৃহস্পতিবার করুন এই টোটকা
ডায়ারিয়া: ডায়রিয়া হামের
অন্যতম লক্ষণ। এই সময় পেটের স্বাভাবিক হজমে গোলযোগ দেখা যায়। শিশুর এই সমস্যা হলে
চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার।
অতিরিক্ত ঘুমোনো: হামে আক্রান্ত হলে
শিশু বা ব্যক্তির মধ্যে অতিরিক্ত ঘুমোনোর প্রবণতা থাকে। ভাইরাস মস্তিষ্ক পর্যন্ত সংক্রমণ
ছড়ালে সাধারণত এই লক্ষণ দেখা যায়। ঘুমের পাশাপাশি রোগী মাঝে মাঝেই অচৈতন্য অবস্থায়
থাকে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। নাহলে
বিপদ বাড়তে পারে।