পেঁপের রয়েছে প্রচুর গুণাগুণ। রোগ থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে পেঁপে খেতে পারে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পেঁপের মতো স্বাস্থ্যকর সব্জি খুব কমই রয়েছে। পেঁপে উপকারী তো বটেই, পেঁপে পাতার স্বাস্থ্যগুণও কিছু কম নেই। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎস হল পেঁপে পাতা। ডেঙ্গি হলে দ্রুত সুস্থ হতে পেঁপে পাতার রস করে খাওয়ার কথা বলা হয়। পেঁপে পাতা রক্তে অণুচক্রিকার মাত্রা বৃদ্ধি করে। তবে পেঁপে পাতার উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। আর কী কী উপকার করে পেঁপে পাতা?

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

পেঁপে পাতা হল ডায়েটারি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ছিপছিপে হতে ভরসা রাখা যায় এই পাতায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও পেঁপে পাতায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

প্রতিদিন সকালে এভাবে খান কাজু, রোগ পালাতে পথ পাবে না

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপের মতো পেঁপে পাতাও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সমান উপকারী। পেঁপে পাতা শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিয়ে চনমনে রাখে শরীর। সংক্রমণজাতীয় রোগের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরে শক্তি জোগায় এই পাতা।

হজমজনিত সমস্যা দূর করে

পেঁপে পাতায় রয়েছে এক বিশেষ ধরনের এনজাইম। এই এনজাইম হজমশক্তি উন্নত করে। হজমের গোলমাল থাকলে পেঁপে পাতা সত্যিই দারুণ উপকারী। পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যায় মহৌষধের মতো কাজ করে পেঁপে পাতা।

পেট ভাল রাখতে

ভোজনরসিক বাঙালি পেটের সমস্যা হলেই ভরসা রাখে ওষুধে। তবে এই ধরনের ওষুধ যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বরং ভরসা হতে পারে পেঁপে পাতা। পেটের গোলমাল কমাতে পেঁপে পাতার জুড়ি মেলা ভার।

রোজ খান এই সমস্ত সবজি, নিমেষে জব্দ হবে ডায়াবেটিস

কীভাবে খাবেন পেঁপে পাতা?

পেঁপে পাতা শুকিয়ে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। তার পর সেই জলটি ছেঁকে গরম গরম খেতে পারেন। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার।