নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু মেয়ে
মানেই যেন হাজারো একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ অল্পবয়স থেকে শুরু হয়ে যায়
ঋতুস্রাবকালীন সমস্যা। এরপর আবার অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের পাশাপাশি হরমোন জনিত সমস্যার
কারণে ওভারিয়ান সিস্ট হওয়া শুরু করে দেয়। এই সমস্যা দেখা দিলে বিয়ে করতেও দেরি হয়
পাশাপাশি সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বহু সমস্যা দেখা যায়। তবে ওভারিয়ান সিস্ট হওয়ার
কারণ হল ইস্ট্রজেন হরমোনের সাম্য নষ্ট হওয়া। এই হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে
ওভিউলেশন অনিয়মিত হয়। যার ফলে ওভারিতে সিস্ট তৈরি হয়। আর যার জেরে একটা নারীর
জীবনে বহু সমস্যা নেমে আসে। যদিও এই সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ
খেতে হয় নিয়মিত। ইস্ট্রজেন হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ডায়েটে যতটা সম্ভব
অরগ্যানিক মিট ও ডেয়ারি প্রডাক্ট রাখুন। এতে ইস্ট্রজেনের সঠিক মাত্রা বজায় থাকবে। এছাড়াও
ঘরোয়া বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে এনার্জি লেভেল কমে যাওয়ার কারণে রোজ খাচ্ছেন লেবুর জল, অজান্তে কোনও ভুল হচ্ছে না তো!
আরও পড়ুন: Lunar Eclipse: চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে যে কাজগুলি ভুলেও করবেন না
ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন ও বিএমআই বেশি হওয়ার কারণেও ওভারিয়ান সিস্টে
আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। তাই বয়স অনুযায়ী ডায়েট করা উচিত।
ডায়েট
ফাস্ট ফুড খাওয়া একেবারেই চলবে না। ডায়েটে ফল, সবুজ শাক-সব্জি, গোটা শস্যের পরিমাণ বেশি থাকলে
সিস্টের মোকাবিলা করা সহজ হবে। ওভারিয়ান সিস্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাশাপাশি ভিটামিন
ই, ফ্লাক্সসিড অয়েল, ম্যাগনেসিয়াম,
ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম।