উদ্ধার হওয়া এক মৎস্যকন্যার মমি ঘিরে জাপানে তোলপাড়।
রহস্যময় মমিটির দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি। প্রাণীটি ১৭৩৬-১৭৪১ সালের মধ্যে জাপানের শিকোকু
দ্বীপের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া গিয়েছিল৷ বর্তমানে এটি আসাকুচি শহরের একটি
মন্দিরে রয়েছে। জানা গিয়েছে, মৎস্যকন্যার মমিটির বয়স কমপক্ষে ৩০০ বছর।
জাপানের আসাহি শিম্বুন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি
বলা হয়েছে, মৎস্যকন্যার মমিটি প্রশান্ত মহাসাগরে জেলেদের মাছ ধরার
জালে ধরা পড়েছিল। সেটি একটি বাক্সে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল একটি চিঠি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, মৎস্যকন্যার দেহকে শুষ্ক করে
একটি পরিবার তাদের কাছেই রেখেছিল। তারপর অন্য একটি পরিবারের কাছে যায় মমিটি।
সবশেষে মন্দির দ্বারা সেটি অধিগৃহিত হয়।
আরও পড়ুন: Tomato Flu: একে তো করোনায় কাবু গোটা দেশ, এরই মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে 'টমেটো ফ্লু', জেনে নিন এই রোগের উপসর্গ
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পাত্র-পাত্রীর অমতে রেজিস্ট্রি করে বিয়েও বেআইনী, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
মমির সূক্ষ্ম দাঁত, মুখমণ্ডল, দুই হাত এবং মাথা ও ভ্রূতে রোমের আধিক্য রয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে
মুখমণ্ডলে মানবিক ভাব স্পষ্ট। নিচের অর্ধেক অংশে আবার মাছের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
শরীরের নীচের অর্ধেক আঁশে ঢাকা। শেষে রয়েছে লেজের ন্যায় অংশ।
এর রহস্য উন্মোচন করার জন্য, কুরাশিকি
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের গবেষকরা এই মৎস্যকন্যা নিয়ে গবেষণা
চালাচ্ছেন। যদিও জাপানি মৎস্যকন্যাদের অমরত্বের কিংবদন্তি রয়েছে। বলা হয় যে,
আপনি যদি মৎস্যকন্যাদের মাংস খান তবে আপনি কখনওই মারা যাবেন না।
জাপানে নাকি এক মহিলা ভুলবশত একটি মারমেডের মাংস খেয়েছিলেন, তার ফলে তিনি ৮০০ বছর বেঁচে ছিলেন। এই ‘ইয়াও-বিকুনি’র মমি ওই মন্দিরেই
সংরক্ষিত রয়েছে। শোনা যায়, মৎস্যকন্যাদের লোককথায় যারা
বিশ্বাসী তাঁরা মারমেড মমিগুলির আঁশ কানের দুল হিসাবে পরতেন। এমনও শোনা যায়,
একজন মারমেইড একটি সংক্রামক রোগের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা
পরবর্তীতে মিলে যায়।