চলতি বছর ২২ জুন পড়েছে অম্বুবাচী। বাংলা পঞ্জিকা মতে ৭ আষাঢ় থেকে ১০ আষাঢ়
পর্যন্ত থাকবে এই অম্বুবাচী তিথি। পঞ্জিকা অনুযায়ী আষাঢ় মাসে সূর্য যেদিন মিথুন রাশির
আর্দ্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করে সেদিনই ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন। আষাঢ়ের সপ্তম দিনে পালিত
হয় অম্বুবাচী। এই তিন দিন দেবীর দর্শন পান না ভক্তরা। কাপড়ে মুখ ঢেকে রাখা হয়। শাস্ত্র
মতে এমন বহু কাজ রয়েছে যা অম্বুবাচী তিথিতে করতে বারণ করা হয়। দেখে নিন কী করতে নেই-
অম্বুবাচীতে মূলত ফলাহার করার নিয়ম রয়েছে। বৈধব্যে থাকা অনেকেই এর আগে অম্বুবাচী
তিথিতে ফলাহার করে থাকতেন। তাই এদিন ফলাহার করাই শ্রেয়।
কথিত রয়েছে অম্বুবাচী তিথিতে কোনও মতেই পুড়িয়ে তৈরি করা কোনও রান্না খাওয়া
ঠিক নয়। ফলে যে খাবার পুড়িয়ে তৈরি করা হয় সেই খাবার খাওয়া ঠিক হবে না এই সময়। এছাড়াও
রান্না করা খাবারও খাওয়া উচিত নয়।
অম্বুবাচীর সময় জমিবাড়ি কেনা বা বিবাহের মতো শুভ কাজ করতে নেই। এই সময়
বিবাহের পাকা কথাও বলার নিয়ম নেই শাস্ত্র মতে।
বলা হয় অসমের কামাখ্যায় অম্বুবাচী মেলার জন্য যে ভান্ডারা হয় সেখানে পটল,
মুগডাল, কাঁচা লঙ্কা, পনির, বিন, ঢ্যাঁড়স, সোয়াবিনের রান্নাকে ছাড় দেওয়া হয়। তবে
মিশ্র তেল, কুমড়ো, শুকনো লঙ্কা, লঙ্কাগুঁড়ো সেখানে রাখা হয় না।