কথায় বলে, একজন পুরুষের সাফল্যের পিছনে থাকে একজন নারীর হাত। তা সেই নারী
মা, বোন, বন্ধু বা স্ত্রী যেই হন না কেন। তবে বর্তমান সময়ে দেশ, সমাজের উন্নতি ও সাফল্যের
কাণ্ডারিও হয়ে উঠছেন তাঁরা। আজকাল গৃহকর্মের পাশাপাশি বাইরের কাজেও সমান পারদর্শী মহিলারা।
পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নানা ক্ষেত্রে লড়ছেন এমন অসংখ্য নারী। সমাজের বিভিন্ন
ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছেন মহিলারা। ঠিক এমনই কিছু অন্যন্যা
বঙ্গ ললনাকে সম্মান জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে ‘ধানসিড়ি প্রোডাকশন’।
গত ২ জুলাই সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল ধানসিড়ি প্রোডাকশন ও উইনার্সট্র্যাক
পরিবার উপস্থাপিত ‘বঙ্গ নারী সম্মান’। যেখানে ১৫ জন নারীকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে
তাঁদের অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হল। ধানসিড়ি’র এই সুন্দর উদ্যোগে সামিল ছিল স্পোর্টসএনস্ক্রিন,
এলআইসি, জিস গ্রুপ, বসাক ইন্টেরিয়রস, সাহা টেক্সটাইল, ভিস্টা’র মতো সংস্থাগুলি। দেখে
নিন কোন ক্ষেত্র থেকে কোন নারীরা জিতে নিয়েছে ‘বঙ্গ নারী সম্মান’-
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'আমি কাউকে গ্রেফতার করার অর্ডার দিইনি' রোদ্দুর রায়ের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: Akshay Kumar: একের পর এক অক্ষয় ম্যাজিক বক্স অফিসে ফ্লপ হতে শুরু করেছে, তবে কী এবার রাজনীতির জগতে পা রাখতে চলেছেন খিলাড়ি!
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়- ‘স্টোরি টেলার’ বিভাগে বঙ্গ নারী সম্মান পেয়েছেন স্ক্রিপ্ট
লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। ইষ্টিকুটুম, শ্রীময়ী’র মতো একাধিক বাংলা ধারাবাহিক লিখেছেন
তিনি। তা ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
লোপামুদ্রা মিত্র- ‘এন্টারটেইনিং ইয়ার্স’ অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত জগতে
অসীম অবদানের জন্য বঙ্গ নারীর সম্মান পেলেন গায়িকা লোপামুদ্রা। রাবীন্দ্রিক গান বা
লোকগীতি লোপামুদ্রার কণ্ঠে সবই নতুন জীবন পায় তা বালাই বাহুল্য।
কাকলী ঘোষ কুণ্ডু- প্রশাসনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন ও শিশু পাচারের
মতো অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মাধ্যমে পুলিশ ইন্সপেক্টর কাকলী ঘোষের অবদানকে
কুর্নিশ জানিয়ে মেকিং সোসাইটি আ ডিশিপ্লিন্ড প্লেস’ বিভাগে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়
তাঁকে।
মনামী ঘোষ- বুস্ট এনার্জি সাপ্লায়েস’ বিভাগে পুরস্কৃত হন অভিনেত্রী মনামী
ঘোষ। এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণার জন্য বঙ্গ নারী সম্মান পান তিনি।
নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়- কিছুদিন আগেই কলকাতায় রাতের অন্ধকারে এক মহিলাকে
নির্যাতিতা হতে দেখএ তাঁকে বাঁচান ইনি, তাই ‘কলকাতা ব্রেভ হার্ট’ বিভাগে পুরস্কৃত হন
নীলাঞ্জনা।
পিউ রায়- টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ইনি। সন্ধ্যে হলেই সঠিক খবর নিয়ে ইনি পৌঁছে
যান মানুষের ড্রয়িং রুমে। নির্ভিক ও অকুত ভয়ে খবরের খুঁটিনাটি জানান সমাজকে। তাই ‘ফিয়ারলেস
জার্নালিজম’ বিভাগের পুরস্কার প্রাপক পিউ রায়।
সোহিনী সরকার- অভিনয়ের মাধ্যমে একেবারে বাস্তব রুপ ফুটিয়ে তোলেন সোহিনী।
তাঁর চরিত্ররা যেন কথা বলে, তাই ‘পোর্ট্রেইং রোল ইনটু রিয়ালিজম’ বিভাগে পুরস্কার জিতে
নেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
তৃণা চট্টোপাধ্যায়- রেডিও’তে অসীম অবদানের জন্য ‘বেস্ট কন্ট্রিবিউটার ইন
রেডিও’ বিভাগে বঙ্গ নারী সম্মান পান তৃণা।
সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়- অন্তরের ভাবকে আবৃত্তির মাধ্যমে উপস্থাপনার কাজ দীর্ঘদিন
করে আসছেন সুতপা। যাত্রাটা শুরু হয়েছিল দূরদর্শনে খবর পড়া থেকে। তাই সোলফুল রিসাইটেশন’
বিভাগে পুরস্কার জিতে নেন ইনি।
তিলোত্তমা মজুমদার- কলমের মাধ্যমেই নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করে আসছেন তিনি।
তাঁর কবিতা, গল্পের লাইনের মাধ্যমে জীবন্ত তিনি। পুটিং এক্সিসটেন্স ইনটু ওয়ার্ডস বিভাগে
পুরস্কার জিতে নেন তিলোত্তমা মজুমদার।
ডাঃ রুপালী বসু- ‘গড ইন হোয়াইট কোট’ অর্থাৎ ডাক্তার হিসেবে সমাজের সেবার
কাজে ব্রতী হওয়া ও মহামারীর সময়েও তা সমান দক্ষতার সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া, সর্বোপরি চিকিৎসাক্ষেত্রে
অবদানের জন্য পুরস্কৃত হন রুপালী বসু।
ড. তানিয়া দাস- ক্যানসার চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর আবিস্কার আলোড়ন ফেলে সারা
দেশে। দেশে বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকায় স্থান পায় তা। বৈজ্ঞানিকক্ষেত্রে তাঁর এই অবদানের
জন্য আনরেভেলিং দ্য আননোন বিভাগে পুরস্কৃত হন ডঃ তানিয়া দাস।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়- ‘হোপ অফ কমোনারস’
বিভাগে পুরস্কৃত হন ইনি। সামাজিক কর্ম, গরিব শিশুদের উন্নতির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দেন ইনি। করোনাকালে সামাজিক কাজে সমানভাবে ব্রতী হন শর্মিষ্ঠা।
শ্রীনন্দা শঙ্কর- 'সেটিং স্টেজ অন ফায়ারে’ পুরস্কার পান শ্রীনন্দা শঙ্কর।
নাচের পাশাপাশি অভিনয়ও করেন ইনি।
সুপ্রিয়া রায়- 'কনসলিডেটিং ইকোনমি' বিভাগে বঙ্গ নারী সম্মান জিতে নেন সুপ্রিয়া
রায়।