ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হন।
লতাজির আলাদা কোনও পরিচয়ের দরকার হয় না। তাঁকে কোকিলকণ্ঠী বলা হয়। আপনি কি জানেন
যে লতা মঙ্গেশকর তাঁর গোটা শিক্ষাজীবন বাড়িতেই কাটিয়েছেন। তাঁর স্কুলে না যাওয়ার
কারণটাও খুবই দুঃখজনক।
লতা মঙ্গেশকররা পাঁচ ভাইবোন, তিনিই ছিলেন বড়। বোন আশা, মীনা, উষা এবং ভাই
হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। প্রত্যেকেই তাদের ক্যারিয়ার হিসাবে সঙ্গীতকে বেছে নিয়েছিলেন।
লতাজির বাবা ১৯৪২ সালে মারা যান। সেই সময় তাঁর বয়স ১৩। পরিবারের সমস্ত দায়িত্বও
কিশোরী লতার উপর।
একটি শো চলাকালীন, লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন আর এক কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী
আশা ভোঁসলে বলেছিলেন যে তিনি লতা দিদিকে ৫ বছর বয়সে কোলাপুরের পাশে সাংলিতে একটি স্কুলে
যেতে দেখেছিলেন। দিদিকে স্কুলে যেতে দেখে ছোট্ট আশাও দিদির হাত ধরে স্কুলে যেত। কিছুদিন
পর যখন স্কুলের শিক্ষক বললেন, একটা মেয়ের ফি’তে দুটি মেয়েকে বসানো যাবে না। এই কথা শুনে
লতা মঙ্গেশকরের খুব খারাপ লেগেছিল। দুই বোনই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে এবং এরপর
আর স্কুলে যায়নি।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: রুপো নয়, সোনার নুপূর পরতেন লতা মঙ্গেশকর, জেনে নিন কারণ
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: মারাঠি লতার কণ্ঠে তীব্র ভাত-ডালের গন্ধ, বলেছিলেন দিলীপ কুমার
নিজের ছয় দশকের কেরিয়ারে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গান
গেয়েছেন ভারতের নাইটিঙ্গল। ১৩ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে লতা মঙ্গেশকর নিজের কর্মজীবন শুরু
করেন। তিনি বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি ছবি ‘কিটি হসাল’-এর জন্য প্রথম গান রেকর্ড করেন।
ভারত সরকার ১৯৬৯ সালে লতা মঙ্গেশকরকে পদ্মভূষণ, ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে
পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণ, ২০০১ সালে ভারতরত্ন এবং ২০০৮ সালে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট
অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করে।