সঙ্গীত দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছেন সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমান। ১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজের একটি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণকারী এ আর রহমান তামিল থেকে হিন্দি এবং হলিউডে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন। আজ তাঁর জীবনের প্রথম গাড়িটির কথা বলব।

জীবনের প্রথম গাড়ি সবার কাছেই অমূল্য। অস্কার এবং গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী সুরকার এ আর রহমানের জন্যও তাঁর প্রথম গাড়িটি বিশেষ। আরও কারণ এটি তাঁকে তাঁর মা করিমা উপহার দিয়েছিলেন। অ্যাম্বাসেডর গাড়িটি আশির দশকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়িগুলির মধ্যে একটি ছিল। মা রহমানকে যে গাড়ি দিয়েছিলেন তা নিয়ে গর্বিত তিনি। সেই জন্যই এক জন্মদিনে পুরানো সাদা মডেলের অ্যাম্বাসেডরের একটি ছবি শেয়ার করে এ আর লিখেছিলেন, “আমার মা আমার জন্য প্রথম গাড়িটি ১৯৮৬ সালে পেয়েছিলেন।”

এই অ্যাম্বাসেডর ১৯৫৮ সাল থেকে দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি এবং সরকারের সবচেয়ে প্রিয় বাহন। ২০১৪ সাল থেকে শ্বেতবাহন বিদায় নিয়েছে। তবে এখন আবার উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২২: রণভীরের ন্যুড শুট থেকে পাঠান'এ শাহরুখের লুক, ২০২২-এ নেটপাড়া কাঁপাল যে ঘটনাগুলি

আরও পড়ুন: Nitin Manmohan: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত 'রেডি' ছবির প্রযোজক নীতিন মনমোহন

মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে তৈরি দেশের প্রথম গাড়ি অ্যাম্বাসেডরের উৎপাদন কলকাতায় হিন্দুস্তান মোটর কোম্পানি শুরু করেছিল। এটির আকৃতি, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা এবং যেকোনও রাস্তায় চলার উপযোগীতার কারণে অ্যাম্বাসেডর জাতীয় গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ১৯৫৮ সালে অ্যাম্বাসেডর উৎপাদন শুরু হওয়ার পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর ইঞ্জিনে ৭ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এর নকশা, আকার ও বৈশিষ্ট্যে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

এই কারণে ভাল মডেলের বিদেশি গাড়ি আসার পর মানুষের আগ্রহ কমে যায় এবং পরে অ্যাম্বাসেডরের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

প্রথম কালো অ্যাম্বাসেডর গাড়িটি হিন্দুস্তান মোটর কোম্পানি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে উপহার দিয়েছিল এবং তারপরেই এটি নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স জোনে ক্ষমতার রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের সরকারি বাহন হয়ে ওঠে। ফ্যান, পর্দা এবং লাল-নীল বাতি দিয়ে সজ্জিত, অ্যাম্বাসেডরে বসা কয়েক দশক আগেও অন্যতম উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, কারণ এটি তখন সরকারি কর্মকর্তাদের একমাত্র বাহন ছিল।