‘মিল্কি ওয়ে’তে দেখা মিলল
কৃষ্ণগহ্বরের। সম্প্রতি এমন এক বিস্ময়কর ছবি উঠে এল বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞনীমহলের
সামনে। এই প্রথম নাকি এরূপ ছবি ধরা পড়ল। মহাশূন্যের অন্দরে যে খোঁজ বহু দিন ধরে
হয়ে এসেছে, তার একংশ যেন এদিন ফুটে উঠল। বিজ্ঞানীদের একাংশ
এই আবিষ্কারে রীতিমত হতবাক। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে পদার্থবিদ্যার জগতে এক বিরাট ঘটনা,
তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: Lunar Eclipse: চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে যে কাজগুলি ভুলেও করবেন না
আরও পড়ুন: Tomato Flu: একে তো করোনায় কাবু গোটা দেশ, এরই মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে 'টমেটো ফ্লু', জেনে নিন এই রোগের উপসর্গ
সম্প্রতি ইভেন্ট হরাইজেন টেলিস্কোপ কোলাবোরেশনের তরফে
মিল্কি ওয়ে’তে অই কৃষ্ণগহ্বরের ছবি সামনে আনা হয়েছে, যা কার্যত হতবাক ক্রেছে সারা বিশ্বের মানুষকে। যেন এক প্রকাণ্ড আলোক। যার
অনেকটাই অস্পষ্ট। যদিও ছবিতে একেবারে স্পষ্ট দেখাচ্ছে না সেই পিণ্ডকে। এই প্রথমবার
মিল্কিওয়ের মধ্যে ধরা পড়েছে ব্ল্যাকহোল। বিজ্ঞানীদের দাবি, সব
কয়টি সৌরজগতে এমনকি আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রেও এমন ব্ল্যাক হোল রয়েছে। যার মধ্যে
দিয়ে যেতে পারে না পদার্থ ও আলো। এমন এক অস্তিত্বের ছবিকে ধরা নিঃসন্দেহে একটি বড়
সাফল্য।
দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলকে ধরার চেষ্টা
করেছেন। তবে আলোর গতিবিধি ও ব্ল্যাক হোলের বৈশিষ্ট কখনওই এর সহায়তা করতে পারেনি।
মিল্কি ওয়েতে এই ব্ল্যাক হোলকে বলা হচ্ছে ‘স্যাজিটেরিয়াস এ’। আমাদের সৌরজগতের সূর্যের থেকেও ৪ মিলিয়ন গুণ এটি বড়। একেবারে যেন
দৈত্যাকার। তবে এটা বিশ্বের প্রথম ব্ল্যাক হোলের ছবি নয়। এর আগে ২০১৯ সালে তা
প্রকাশ্যে এসেছে একবার। তবে সেবারে যে সৌরজগতের ব্ল্যাকহোলকে তুলে ধরা হয়, তা ৫৩ আলোকবর্ষ দূরে ছিল।