দুর্গাষ্টমীর অঞ্জলিতে মেয়েদের সাজ বলতে সবার আগে তো শাড়ির কথাই মাথায় আসে। বঙ্গনারীর অঙ্গশোভায় এই পোশাকের তুলনা সে নিজেই। অষ্টমী তিথি যেমন জামদানি ছাড়া অসম্পূর্ণ তেমনই নবমীর সন্ধ্যা জমকালো সিল্কে সেজে ওঠার দিন। এবার দশমীতে গরদ পরে মাকে বরণ করার দৃশ্য অতুলনীয়। কিন্তু শুধু জামদানি বা গরদেই বঙ্গনারী সীমাবদ্ধ থাকবে কেন? কখনও কখনও তো ভীড়ের থেকে একটু আলাদা হতেও ইচ্ছা করে। তাই এই পুজোতে বেছে নিন বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ি।

দর্শনার্থীদের কথা ভেবে চতুর্থী থেকেই নবান্নে চালু হচ্ছে বিশেষ কন্ট্রোলরুম

Benefits Flower: ফুলের জাদুতেই দূর হবে অনিদ্রা, কাশি, অ্যালার্জির মতো সমস্যা , একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ দেবে

১) অসমের সাবেকি শাড়ি হল মুগা। এখন নানা রঙে এলেও আদতে এর বুনন লাল-সাদাই। জমি জুড়ে ইতিউতি কলকা, তেকোণা বা নেহাতই সাবেকি ফুল বুটি, পাড়ে আর আঁচলে ভারি আলপনার মতো লতার নকশা। অসমের বিখ্যাত কালিকাপুরাণও বলছে- দেবীর নিত্য সাজের অপরিহার্য অঙ্গই এই মুগা।

২) যেমন রেশম, তেমনই সুতির শাড়ির জন্যও প্রসিদ্ধি আছে দক্ষিণ ভারতের কাঞ্চীপুরমের। কাঞ্চীপুরম না খুব হালকা, না খুব ভারি। লাল-সাদা রঙের সঙ্গে বিশেষ করে বেছে নেওয়া যায় ময়ূর বুটি। কামাক্ষী দেবীরও বিশেষ পছন্দের শাড়ি কাঞ্চিপুরম।

৩) নবকোটি রীতিমতো পবিত্র বস্ত্র। বোনা শুরু হয়েছিল জগন্নাথের জন্য। একে একে গায়ে উঠেছে সুভদ্রা, বিমলারও। ওড়িশার এই খান্ডুয়া (Khandua Saree) বা নবকোটি শাড়ির (Navkoti Saree) তাই ব্যাপারই আলাদা। আঁচলে-পাড়ে থাকে গীতগোবিন্দের দৃশ্য। আর গায়ে মঙ্গল কলস, পশু, পাখি, ফুল- সব মিলিয়ে নয়টি পবিত্র চিহ্ন।

৪) গাদোয়ালেই মাতোয়ারা হোক অষ্টমী। চওড়া পাড় আর আঁচলের লাল-সোনালি জরি আলো ছড়াবে গর্জন-তেলমাখা দেবীর মুখের মতো, সাদা খোলে জমা থাকবে শ্রদ্ধার সবটুকু। ব্রহ্মোৎসবের প্রথম দিনে দেবী লক্ষ্মী, দেবী পদ্মাবতীর সঙ্গে তিরুপতিও ধারণ করেন তেলঙ্গানার এই সাবেকি বসনের বুনন।

৫) দক্ষিণ ভারতের শাড়ি হল কোনরাড়, একে মন্দির শাড়ি বলা হয়। একসময় খাস দেবীর জন্যই তৈরি হত কোনরাড় (Konrad Saree)। ভারি জরির আঁচল-পাড়, জমিতে কিন্তু শুধুই একটু বড় চেক।