‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি...’
আবদুল গফফর চৌধুরীর এ লেখনী ছাড়া ভাষা দিবস অসম্পূর্ণ।
বাংলাদেশের এমন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আর নেই। ১৮ মে
বুধবার রাত্রে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন আবদুল গফফর চৌধুরী। আবদুল
গফফর-এর লেখনীতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ কবিতা বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহিদদের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল।
আবদুল গফফর চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল ১৯৩৪ সালে বরিশালের
মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক
ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। তারপর ১৯৭৪-এ পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার আগে
ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন আবদুল গফফর। ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি জয় বাংলা, যুগান্তর ও
আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। ব্রিটেনে গিয়েও বসে থাকেননি। সেখানে চৌধুরীর হাত
ধরে আলো দেখে ‘নতুন দিন’ পত্রিকা।
আরও পড়ুন: দত্তক নেওয়া সন্তানেরও পূর্ণ অধিকার রয়েছে পারিবারিক পেনশনে, রায় পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অবশেষে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল
অসাধারণ লেখনীশক্তি ছিল আবদুল গফফর চৌধুরীর। লিখেছেন ৩৫টি
বই। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘দান পিঠে শওকত’, ‘চন্দ্রদ্বীপ উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোর’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’, ‘পলাশীর ধানমন্ডি’, ‘বাস্তবতার নিরিখে’। ১৯৬৭ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান এই সাহিত্যিক। এছাড়া
একুশে পদক, ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, ২০০৮ সালে সাংহাটি আজীবন
সম্মাননা পুরস্কার, ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পদক সহ একের পর এক
সম্মাণে ভূষিত করা হয়েছিল আবদুল গফফর চৌধুরীকে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রকাশ
করেছেন।
glIlmer
Mar 01, 2023 14:30 [IST]