গত ২৩ মার্চ গভীররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ওইদিন শুটিং করতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন
তাঁকে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা আর হয়নি। চিরঘুমের
দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে, ওই দিন ‘ইসমার্ট জোরি’র শুটিং করতে গিয়েছিলেন
তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেটাই যে তাঁর জীবনের শেষ
শুটিং হবে তা বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউই। সেই শুটের ঝলক এখন ঘুরে ফিরে আসছে টাইম লাইনে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের জীবনে 'প্রথম প্রেম' কে, জানেন!
আরও পড়ুন: 'তোর বিকল্প হবে না কোনোদিন' নীরবতা ভাঙলেন বুম্বাদা
কালো পাঞ্জাবিতে রীতিমতো সুপুরুষ ৫৭-র অভিনেতা। কখনও হাঁটু
মুড়ে বসে স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছেন। কখনও টেনে নিয়েছেন বুকে। কপালে
ভালবেসে এঁকে দিয়েছেন চুমু। আবার কখনও তিনি বলেছেন, যত দিন যাবে ততই স্বামীর স্পর্শ আরও বেশি করে বুঝতে পারবেন সংযুক্তা।
পাশাপাশি, অভিষেকের গালেও ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন
সংযুক্তা। আনন্দে চোখে জল সংযুক্তার চট্টোপাধ্যায়ের। চোখ
বাঁধা অবস্থাতেও বুঝতে পেরেছেন, তিনি স্বামী অভিষেক
চট্টোপাধ্যায়ের গালেই চুম্বন করেছেন। সে
দিন ঘুণাক্ষরেও কি তিনি বুঝেছিলেন, স্বামীকে এটাই তাঁর
শেষ আদর? শো-এর সঞ্চালক অভিষেক-সংযুক্তার প্রেম দেখে
মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘দু’বার দাদাকে
চুমু খেলে তুমি। এ ভাবেই বেঁধে বেঁধে থেকে কাটিয়ে দিতে হবে আরও ১০ বছর।’ কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! ১০টা দিনও তাঁরা একসঙ্গে
কাটাতে পারলেন না।
কী হয়েছিল সেদিন? জিত জানিয়েছেন,
সে দিন শুরু থেকেই অভিষেক চনমনে ছিলেন না। ফলে, কিছু ক্ষণ শ্যুটের পরে অনুরোধ জানান, তিনি আর পারছেন
না। অসুস্থ বোধ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেটেই তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দেওয়া
হয়। তার পরেও অস্বস্তি বাড়ায় অভিষেক ছুটি নিয়ে পা বাড়ান বাড়ির পথে। সেদিন
গভীর রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। জিতের আফশোস, সে দিন তিনি ভাবতেই পারেননি সেটাই ছিল তাঁদের শেষ দেখা! মাত্র দু’টি পর্ব শ্যুট করতে পেরেছেন অভিষেক-সংযুক্তা। সেই দুই পর্ব দেখানো হবে
শো-তে।
(ভিডিও সৌজন্যেঃ LTV)