আন্টার্কটিকার উত্তরতম উপদ্বীপের উপকূলে অবস্থিত গালিন্দেজ
আইল্যান্ডে লাল রঙের তুষারপাতের রঙ নিয়ে বৈজ্ঞানিকদের মতবিরোধের শেষ নেই। আর্কটিক, হিমালয়, রকিস এবং ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্ক সহ বেশ
কিছু জায়গায় এমন বরফ দেখা যায়। এমন তুষার রঙের বৈচিত্র্য “গোলাপী তুষার”, “লাল তুষার” বা “ব্লাড স্নো”-এর মতো বিভিন্ন নামে পরিচিত। তবে বৈজ্ঞানিকরা
এর একটি সুন্দর নামকরণ করেছে, ওয়াটারমেলন স্নো। একটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই তুষার কিছুটা মিষ্টি, যেন কোনও ফল। সুন্দর গন্ধও রয়েছে। তবুও বিশেষজ্ঞরা বারণ করেন এই তুষার
খেতে। বলা হয় এই বরফ হয়তো ক্ষতিকারক নয়, তবে খেলে হজমের সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
এই ওয়াটারমেলন স্নো’র দেখা যে আধুনিক কালেই
গিয়েছে তা কিন্তু নয়। রেকর্ড বলছে ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও এই বরফ ছিল। অ্যারিস্টটল নিজে এই বরফের কথা লিখে গিয়েছেন। উনিশ শতকে এই ব্লাড স্নো অভিযাত্রী এবং
বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তোলে। রবার্ট ব্রাউন নামে একজন স্কটিশ উদ্ভিদবিদ
আবিষ্কার করেছিলেন যে বরফ-প্রেমী শৈবাল, ক্ল্যামিডোমোনাস
নিভালিসের একটি প্রজাতির জন্যই এই রঙের সৃষ্টি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra: 'গীতবিতান'র চেয়ে দামি 'কবিতাবিতান'! মমতা ও কবিগুরুর সাহিত্যের তুল্যমূল্য বিচারে শ্রীলেখা
আরও পড়ুন: সাবধান! করোনার চতুর্থ ঢেউ আসার আগে এই উপসর্গগুলি দেখে সতর্ক হয়ে যান
মাইক্রোস্কোপের নিচে নিভালিসকে পর্যবেক্ষণ করেন, তখন তারা সবুজ রঙের থাকে। কিন্তু ক্যারোটিনয়েড নামে একটি গৌণ লাল রঙ্গক
ধারণ করে। এটি শীতের সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকে কিন্তু গ্রীষ্মের মাসগুলিতে নিভালিস
সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের বিরুদ্ধে তাদের ক্যারোটিনয়েডকে একটি
প্রতিরক্ষামূলক বাধা বা সানস্ক্রিন হিসাবে “সক্রিয়” করে তোলে এবং লাল হয়ে যায়।
স্বচ্ছ তুষারে রঙ যোগ করার ফলে এটি প্রতিফলিত হওয়ার
পরিবর্তে বেশি তাপ শোষণ করে, যা শেষ পর্যন্ত দ্রুত গলে যায়। তার
ফলেই তুষারের রঙ লাল হয়ে যায়।