হিন্দু ক্যালেন্ডারে পঞ্চক এমন পাঁচ দিন বলা হয় যেখানে কোনও শুভ কাজ সম্পন্ন
করা হয় না। এই পাঁচ দিন অশুভ বিবেচিত হয়। পঞ্চক এর পাঁচ দিন অশুভ নক্ষত্রের সমন্বয়
হিসাবে বিবেচনা করা হয়। চন্দ্র যখন কুম্ভ ও মীন রাশিতে অবস্থান করে তখন সেই সময়কে
পঞ্চক বলা হয়। চন্দ্র যখন এই পাঁচটি নক্ষত্র অতিক্রম করে, সেই সময়কালকে পঞ্চক বলা
হয়। এই পঞ্চক পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে। শনিবার থেকে শুরু পঞ্চক মৃত্যু পঞ্চক, রবিবার থেকে
শুরু পঞ্চক রোগ পঞ্চক, সোমবার থেকে শুরু পঞ্চক রাজ পঞ্চক, মঙ্গলবার থেকে শুরু পঞ্চক
অগ্নি পঞ্চক এবং শুক্রবার থেকে শুরু পঞ্চক চোর পঞ্চক নামে পরিচিত। আগামীকাল থেকে শুরু
হচ্ছে অগ্নি পঞ্চক। প্রাচীন জ্যোতিষশাস্ত্রে সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে পঞ্চকে কিছু
শুভ কাজ হয় না। জেনে নিন কী কী কাজ করবেন না-
অগ্নি পঞ্চকের সময় কোন শুভ কাজ বৈধ নয়।
পঞ্চকের সময় কাঠ বা কাঠ এর তৈরি জিনিসপত্র কেনা হয় না। যদি একান্তই কোনও
কাজের জন্য কাঠ কিনতে হয়, তবে কাঠ কেনার আগে গায়ত্রীর যজ্ঞ করুন।
আরও পড়ুন: নতুন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির নয়া সপ্তাহ, কেমন কাটবে আপনার?
আরও পড়ুন: কেতুর কৃপায় সভাগ্য আসবে এই রাশির জাতকদের
এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ মারা যায়, তবে পুরোহিতের পরামর্শ নিয়েই তার শেষকৃত্য
করা উচিত। এই সময়ে পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধর্মীয় বিশ্বাস
রয়েছে। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য পুরোহিতরা বিভিন্ন উপায়ে
শেষকৃত্য করেন।
পঞ্চকের সময় আপনার বাড়ির ছাদ নির্মাণ বা সংস্কার করবেন না। আপনি যদি পঞ্চকের
সময় কোনও নির্মাণ কাজ করেন এবং মাঝপথে ছেড়ে দিতে না পারেন তবে প্রথমে শ্রমিকদের মধ্যে
মিষ্টি বিতরণ করুন।
পঞ্চকের সময় দক্ষিণ দিকে ভ্রমণ করা অশুভ বলে মনে করা হয় কারণ এটি যমরাজের
(মৃত্যুর দেবতা) দিক। যদি কোনও কারণে আপনাকে দক্ষিণ দিকে যাত্রা করতে হয় তবে যাত্রা
শুরু করার আগে রাম ভক্ত শ্রী হনুমান কে ফল নিবেদন করুন এবং রাম ভক্ত শ্রী হনুমান এর
পূজা করুন তারপর যাত্রা করুন ।