৩৩৩ বছরের
চোগিয়াল রাজত্বের ঐতিহ্য বহনকারী ইয়াকসাম পশ্চিম সিকিমের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে
অন্যতম। প্রচলিত আছে এই স্থানেই সাক্ষাৎ হয়েছিল তিন বৌদ্ধ সাধুর। ঐতিহাসিক
বিশেষত্ব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই পর্যটকরা ছুটে আসেন ইয়াকসামে। করোনার
প্রকোপে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে লক্ষ্যিত না হলেও, পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে আনাগোনা বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের।
ইয়াকসাম কথার
অর্থ,
তিন সাধুর সাক্ষাতের স্থান। কথিত আছে, তিব্বত
থেকে আসা তিন বৌদ্ধ সাধু ফুন্টসোং নামগায়ালকে সিকিমের প্রথম রাজা বলে মান্যতা
দিয়েছিলেন। ১৬৪১ সালে ওই শাসককে চোগিয়াল বা ধর্মীয় রাজার উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
তারপর থেকেই প্রায় ৩৩৩ বছর সিকিমে চোগিয়াল বংশ রাজত্ব করেছিল বলে শোনা যায়। এই
স্থানের প্রাচীন স্থাপত্যের ভিড় পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক বোতল নিষিদ্ধ সিকিমে
আরও পড়ুন: অরন্য সুন্দরীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ লালগড়
পেলিং থেকে ৩৩
কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ইয়াকসাম। সমুদ্রতল থেকে এই স্থানের উচ্চতা প্রায় ৫৮৪০
ফুট। পাহাড়ে ঘেরা এই শহর কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্কের উপরে অবস্থিত।এখান থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘামুখী ট্রেক শুরু করেন বহু
পর্বতারোহী। সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা গ্যালশিং ও গ্যাংটকের সঙ্গে সংযুক্ত। ওক, ফার, পাইন ও রডোডেনড্রনে মোড়া রাস্তা দিয়ে হাঁটলে
পাবেন স্বর্গীয় সুখ।
এছাড়াও অন্যান্য
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে কাথক পোখরি, ডুবডি মনেস্ট্রি,
কারটোক মনেস্ট্রি ও ইয়াকসাম মন্দির। এই অঞ্চলের অপূর্ব প্রাকৃতিক
শোভা আপনার মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য।
ইয়াকসামে পৌঁছতে
গেলে প্রথমে যেতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে বাস বা প্রাইভেট গাড়িতে পৌঁছতে হবে পেলিংয়ে। তারপর
সেখান থেকে ইয়াকসামে যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা। তাই কালবিলম্ব না করে এই পুজোর
ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন ইয়াকসাম থেকে।