মাছ আর বাঙালি’-র লেখক রাধাপ্রসাদ যাঁর
খাওয়া নিয়ে বলেছিলেন, "ফিটফাট ধুতি-পাঞ্জাবি মেন্টেন
করে শ্রীযুক্ত বসন্ত চৌধুরী কীরকম খায় দেখেছেন কেউ পার্টিতে? একটা ছিটে লাগে না কোত্থাও।"
প্রিন্ট মিডিয়া, সিনেমা- টেলিভিশন অথবা
সর্বসমক্ষে যখনই এসেছেন, ওঁর কেতাদুরস্ত জমিদার বেশে মনে
হয়েছে বাঙালির ইতিহাস কিংবা তেমন কোনও উপন্যাস থেকেই উঠে এলেন বুঝি এই মাত্র।
বসন্ত চৌধুরীর বাঙালিয়ানার শুরুই হত পোশাক-আশাক, চেহারায়।
কন্দর্পকান্তি চেহারার সঙ্গে আমে-দুধের মতো মিশত গলার ভারী স্বর। শরীরের শান্ত চলন
এবং গভীর চাহনি। চওড়া কপাল থেকে পায়ের বিদ্যাসাগরী চটি অবধি এক পূর্ণ বাবুটি।
একটা robust ভদ্রলোক। অনেক দিকে মাথা খেলে। কিন্তু
পল্লবগ্রাহী নয়, ভীষণ সেন্স অফ হিউমার, কিন্তু তাঁর সঙ্গে
কোথাও যেন একটা মেলানকোলির ছোঁয়া।
এই বহিরঙ্গের আড়ালে একটা সাহেব বসন্তও ছিলেন, যিনি আবার বাঙালি বসন্তকে সম্পূর্ণ করেন। থেকে থেকে চমৎকার ইংরেজি মিশিয়ে
বাংলা কথা, সেরা ফরাসি কনিয়াকের রুচি, নিবিড়
আমেজে হাভানা চুরুটে টান, প্রাচীন মুদ্রা সংগ্রহ ও তা নিয়ে
পড়াশুনো, খাটাখাটনি ও প্রভূত অর্থব্যয়ে সংগৃহীত অপরূপ ও
দুষ্প্রাপ্য সব কাশ্মীরী ও পারস্যের শালের দুর্লভ সমাহার যা 'রায়মশাই' তাঁর বহু ছবিতে ব্যবহার করেছেন। সর্বোপরি
এক বিচিত্র, বিস্তীর্ণ বই পড়ার নেশা।
সুচিত্রা সেনের বিপরীতে ‘দীপ জ্বেলে যাই’,
‘শুভরাত্রি’, ‘মেঘ কালো’, ‘অভয়া', 'শ্রীকান্ত’, ‘অনুষ্টুপ
ছন্দ’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’ এবং ‘দেবী চৌধুরাণী’-র মতন সুপার-ডুপার হিট সিনেমা।
আরও পড়ুন: সাড়ে তিনশো বছর পরেও ঐতিহ্য অমলিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিড়ালহাতি দূর্গা’র
আরও পড়ুন: রেডিও-এ বীরূপাক্ষের চণ্ডীপাঠ, শিউলির সৌরভ, মনে করিয়ে দেয় ফেলে আসা ছেলেবেলা’কে
৪১ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবন। ৮০ টি চলচ্চিত্রে অভিনয়।রাজা
রামমোহন চরিত্রায়ানের জন্য পেয়েছিলেন BFJA.
আন্দুলের দত্তচৌধুরী কুলের প্রবাসী সন্তান কলকাতার
প্রাক্তন শেরিফ ও নন্দনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বসন্ত চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকী হল
২০শে সেপ্টেম্বর। তাঁর উদ্দেশ্যে সশ্রদ্ধ নমস্কার জানিয়ে চলুন আজ যাই আন্দুলে
তাঁর পরিবার আন্দুল দত্ত-চৌধুরী বাড়ির বনেদি পূজার আঙিনায়।
আগেই বলেছি প্রাচীন সরস্বতী নদীর গতিপথে গড়ে উঠেছিল
মহিয়াড়ি এবং আন্দুল এই দুটি গ্রাম। তখনকরা সরস্বতী নদী ছিল বাংলার অন্তর বাণিজ্য
তথা বহির বাণিজ্যের অন্যতম একটি পথ। প্রাচীন বাংলার গৌরবময় অতীতের বাণিজ্যের সূত্র
ধরেই গড়ে উঠেছিল এই দুটি বর্ধিষ্ণু জনপদ।
ইতিহাস বলে, আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর
আগে, বাংলার সেন বংশের রাজাদের আমলে, কনৌজ
থেকে এসে এই বংশের আদি পুরুষ পুরুষোত্তম দত্ত বাংলার বালি অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন।
পরে তাঁরই প্রপৌত্র তিনকড়ি দত্ত বা টেকড়ি দত্ত বালি থেকে চলে আসেন এই আন্দুল
অঞ্চলে। মূলত ব্যবসা বাণিজ্যের হাত ধরেই এই পরিবারের বর্ধিষ্ণুতার উত্থান এবং
সেইযুগে দিল্লির মসনদ থেকে "চৌধুরী" উপাধি লাভ করেন। সেই থেকেই এই
পরিবারের "দত্ত চৌধুরী" পদবীর সূচনা। তবে পরবর্তীকালে কোন পারিবারিক
কারণে আন্দুলের এই বিখ্যাত জমিদার পরিবারে কিছুটা ভাঙ্গন ধরে - যখন তিন ভাই রামশরণ,
গোবিন্দশরণ এবং হরিশরণ দত্ত চৌধুরী নিজেরা আলাদা হয়ে যান। তাঁদের
মধ্যে রামশরণ এই আন্দুলেই বসবাস করতে থাকেন এবং এখানেই পারিবারিক দুর্গোৎসবের
প্রচলন করেন। এটি বাংলার অন্যতম পুরানো পুজো গুলোর মধ্যে একটি।

বর্তমানে যেখানে পূজো হয়, সেখানে মন্দিরের
বোর্ড থেকে জানা যায়, যে এই পূজাটি রামশরণ দত্ত প্রবর্তন
করেন বাংলা ১০১৬ সালে বা বঙ্গাব্দে, অর্থাৎ ইংরাজি ১৬০৯
খৃষ্টাব্দে । কিন্ত অন্যত্র কিছু লেখা থেকে পাচ্ছি যে, পূজোটি
চালু হয় ইংরাজি ১৫৬৮ থেকে ১৫৭০ সালের মধ্যে। সেই হিসেবে, এই
পূজো প্রায় চারশো থেকে সাড়ে চারশো বছরের পুরনো।। একেবারে শুরুর সময়ে ইঁট আর খড়
দিয়ে তৈরি একটি আটচালা মন্দিরে মায়ের পূজো হত। পরে, ১৬৩০ সাল
নাগাদ সেই আটচালার জায়গায় একটি পাকা দালান তৈরি হয় মায়ের পুজোর জন্য। তবে, কালের প্রকোপে সেই দালান জীর্ণ হয়ে পড়লে নতুন করে একটি ঠাকুরদালান তৈরি
করা হয় আজ থেকে নব্বই বছর আগে ১৯৩০ সালে। তখন থেকেই সেই ঠাকুরদালানেই এই প্রাচীন
পূজো অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। পুজোর নিয়মে এখানেও সেই প্রাচীন পরম্পরাই বজায় রাখা হয়।
এই পুজোর একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো এই পূজার রীতি অনুসরণ
করে একাধারে বৃহৎ নন্দীকেশ্বর পুরাণ ও বৈষ্ণব ধারার মিলিত পদ্ধতিকে। এই পদ্ধতির
সংমিশ্রনের কারণ হিসেবে সনাতন প্রথার ওপর চৈতন্যদেবের প্রভাবের উল্লেখ করা যায়।
সনাতনীয় প্রথায় পশুবলির জায়গায় বৈষ্ণব প্রভাব হিসেবে এখানে সব্জি ও ফল বলি দেওয়া
হয় আর নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো ও ধুনো পোড়ানো। তবে এখানে একটি বিশেষ প্রতীকী বলি
হয় - "শত্রু বলি"। চালের গুঁড়ো দিয়ে একটি পুতুল তৈরি করে সেটিকেই বলি
দেওয়া হয় শত্রু বিজয়ের প্রতীক হিসেবে। নৈবেদ্যের মধ্যে থাকে খাজা আর আগমন্ডা।
মিষ্টিটি নারকোল আর ক্ষীর দিয়ে তৈরি করা হয় - সঙ্গে থাকে চিনি আর মেওয়া।

ঠাকুরদালান দেখতে গেলে চোখে পড়ে পাশেই গায়ে গায়ে লাগানো
চারটি শিব মন্দির, তার মধ্যে দুটি আটচালা শৈলীর। এগুলির
মধ্যে সবচাইতে পুরোনো হচ্ছে কাশীশ্বর শিব মন্দিরটি। মন্দির কমিটির বোর্ড থেকে জানা
যায়, রামশরণ দত্তের মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র কাশীশ্বর
দত্ত এই শিবমন্দির নির্মাণ করান। এখনো সেই শিব মন্দিরের গায়ে কিছু প্রাচীন
টেরাকোটার ফলক দেখা যায়। তাছাড়া শিবমন্দিরের গায়ে একটি প্রাচীন ফলকে রামশরণ দত্ত
চৌধুরীর নাম ও এখানকার দুর্গা পুজোর প্রচলনের তারিখ হিসেবে ওই ১০১৬ বঙ্গাব্দের
উল্লেখ আছে। এখানকার দুর্গা পূজো আর সেই সঙ্গে ওই শিব মন্দিরের পুজোও পরিচালনা
করেন ওই কাশীশ্বর দত্তের বংশীয় সেবায়েতরাই - শ্রী শ্রী৺কাশীশ্বর দেবোত্তর এস্টেটের
মাধ্যমে।
বিখ্যাত বাংলা সিনেমা অভিনেতা বসন্ত চৌধুরী ছাড়াও এই
পরিবারের মানুষ কবি ও সুলেখক অক্ষয় চৌধুরী ও শরৎ কুমারী দেবী, প্রমথ চৌধুরীরা স্বকীয়তায় আজও অমলিন।
ছবি সৌজন্যে: সুপ্রতীক মৈত্র
orlistat 60mg
Jul 04, 2022 22:37 [IST]pastilla cialis
Jul 03, 2022 11:28 [IST]lumigan walmart
Jun 28, 2022 08:23 [IST]cialis substitute
Jun 28, 2022 01:35 [IST]propecia canada buy
Jun 27, 2022 22:40 [IST]tizanidine 2mg
Jun 24, 2022 02:01 [IST]search kamagra
Jun 20, 2022 12:15 [IST]try viagra for free
Jun 18, 2022 02:37 [IST]levitra coupon 2017
Jun 17, 2022 14:55 [IST]extra super avana
Jun 17, 2022 10:55 [IST]how viagra works
Jun 14, 2022 10:24 [IST]SlonWaink
Jun 10, 2022 16:16 [IST]SlonWaink
Jun 10, 2022 10:50 [IST]SlonWaink
Jun 06, 2022 14:06 [IST]SlonWaink
Jun 06, 2022 08:56 [IST]ReakSmeat
Jan 09, 2022 13:36 [IST]Breedsfef
Jan 08, 2022 10:32 [IST]FexExcace
Jan 07, 2022 11:52 [IST]ententy
Jan 06, 2022 13:19 [IST]deetaTabs
Jan 05, 2022 13:06 [IST]