পুজো মানেই যে প্রত্যেক দিন নিরামিষ খেতে হবে তার কোনও মানে নেই। রেস্তরাঁর
পাশাপাশি বাড়িতেও মাছ, মাংসর বিভিন্ন পদ অনেকেই তৈরি করে থাকেন। বিশেষ করে এই সময়ে
অনেক বাড়ির মহিলারা ছুটি পান কারণ অফিসের চাপে বাড়িতে রান্না করার সময় হয়ে ওঠে না একেবারেই।
তাই এই পুজোর চারদিনই সুযোগ নিজের হাতে করে রান্না করে বাড়ির সকলকে খাওয়ানো যায়। মহানবমীর দিন পাতে খাসির মাংসের সঙ্গে বাসন্তী পোলাও না পড়লে পুজোটা ঠিক জমে না। কিন্তু
বাসন্তী পোলাও তো প্রায়ই খান। নবমীতে চিংড়ির পোলাও বানালেও খুব একটা খারাপ হবে না।
উপকরণ:
চিংড়ি: আধ কেজি
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
টম্যাটো কুচি: ১ কাপ
কাঁচালঙ্কা: ৪-৫টি
নুন: স্বাদ মতো
বাসমতি চাল: আধ কেজি
আদাবাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুনবাটা: ২ টেবিল চামচ
গোটা গরমমশলা: ৫ গ্রাম
তেজপাতা: ২টি
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচহলুদ গুঁড়ো: আধ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
দই: আধ কাপ
গোলাপ জল: ১ চা চামচ
কেওড়া জল: আধ চা চামচ
প্রণালী:
বাসমতি চাল এক ঘণ্টা আগে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর চালের জল ঝরিয়ে
নিতে হবে। কেটে ধুয়ে রাখা চিংড়িগুলি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে নুন, হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো
দিয়ে মাখিয়ে নিন ভাল করে। এ বার গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করুন। তাতে চিংড়িগুলি
ভেজে তুলে ফেলুন। কড়াইতে আরও কিছুটা তেল ঢেলে তাতে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা দিয়ে একটু
ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে তাতে টম্যাটো কুচি দিয়ে
নেড়ে নিন। এর পর আদাবাটা, রসুনবাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এ বার এতে দুই টেবিল চামচ
টক দই দিয়ে আবার কষিয়ে এর পর ধনে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, নুন ও কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা দিয়ে
ভাল করে নাড়ুন। পাঁচ মিনিটের মতো কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে তাতে দিয়ে দিন
সামান্য চিনি ও চিংড়িগুলি দিয়ে ভাল করে রান্না করে নিন। মিনিট পাঁচেক ঢাকা দিয়ে রান্না
করে নিন। তার পর মশলা থেকে চিংড়ি মাছগুলি একটি পাত্রে তুলে নিন।চাল সেদ্ধ হয়ে এলে
পরিমাণ মতো কেওড়া জল, কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন কিছুক্ষণ।
তারপর মাংসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি পোলাও।