আজ সপ্তমী। আগামীকাল অষ্টমী। অষ্টমী তিথিয়া মানেই জমিয়ে পাঁঠার মাংস খাওয়ার
দিন। তবে খেতে তো ভাল লাগে, যিনি রান্না করেন তাঁর তো জ্বালা। অনেক সময়েই মাংস ভাল
করে সিদ্ধ হতে চায় না। শত কাল ঘাম ছুটিয়ে রান্না করেও যদি এমন হয় তবে সে দুঃখ বলে বোঝানো
দায়।
মাংস সিদ্ধ করার কিছু সহজ পন্থা আছে। সেগুলি একটু মেনে চললেই কেল্লাফতে।
যেমন ধরুন মাংস যখন কিনছেন মাথায় রাখবেন পাঁঠার পায়ের দিকটাই যেন আপনি পান। পায়ের দিকের
মাংসের মতো স্বাদ আর পাঁঠার শরীরের কোনও অংশে নেই। পায়ের দিকের মাংস সিদ্ধ হয় খুব তাড়াতাড়ি।
পাঁঠার মাংস সিদ্ধ করা অনেকটাই নির্ভর করে সঠিক ম্যারিনেশনের উপর। অন্তত
৭ থেকে ৮ ঘণ্টা মাংস ম্যারিনেট করে না রাখলে, মাংস সিদ্ধ হতে অনেক সময় নেবে। ওভারনাইট
করে রাখলে সবচেয়ে ভাল। ম্যারিনেটের সময় দইয়ের সঙ্গে দিয়ে দিন একটু কাঁচা পেঁপের পেস্ট,
নুন, গোলমরিচ। পেঁপের থেকে বেরোনো রস এবং নুন এমনিতেই মাংস নরম করে দেবে। যারা মাংস
ম্যারিনেট করা পছন্দ করেন না তাঁরা শুধু নুন মাখিয়ে ১-২ ঘণ্টা রেখে দিন। তাতেও কাজ
হবে।
আরও পড়ুন: Rasmalai: ষষ্ঠী হোক বা দশমী, পুজোতে মিষ্টি মুখ করুন রসমালাই দিয়ে, দেখে নিন রেসিপি
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: ষষ্ঠীর খাবারেও থাকুক বাংলার সাবেকিয়ান, মিষ্টিমুখের তালিকায় থাক সকরপারা
সঠিকভাবে পাঁঠার মাংস রান্নার সময় যদি নির্দিষ্ট করতে হয় তবে তা হওয়া উচিত
৩ ঘণ্টা। একদম ঢিমে আঁচে তিন ঘণ্টা ধরে মাংস রান্না হতে দিন, নরম না হয়ে যায় কোথায়।
কিন্তু এই ব্যাপারটি বেশ সময় সাপেক্ষ। পাশাপাশি ৩ ঘণ্টা ঢিমে আঁচে রান্না করলে গ্যাসের
দফারফা। তাই কড়াইয়ে কষিয়ে প্রেসার কুকারে ৪-৫টা সিটি দিয়ে নিন। প্রথম সিটিটা পড়বে
হাই আঁচে। তারপর আঁচ কমিয়ে বাকিটা। এরপর প্রেসারকুকারের মুখ বন্ধ করেই রেখে দিন যতক্ষণ
না খোলা সম্ভব হয়।