দেবী দুর্গার হরেক রূপ, অনেক নাম। আর এই প্রতিটি নাম আর রূপের নেপথ্যে রয়েছে
বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও কাহিনি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন দেবীর নাম দুর্গা কেন? এই প্রসঙ্গে
বেশ কিছু মতামত ও পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে।
পুরাণ অনুযায়ী, অসুর হিরণ্যাক্ষর ছেলে রুরু’র বংশধর ছিলেন দুর্গম। সমুদ্রমন্থনের
সময় অসুরদের অমৃতের ভাগ থেকে বঞ্চিত করায় দেবতাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল অসুরের দল। তারা এর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। দুর্গম প্রবল তপস্যা করে বর পান যে কেবলমাত্র
কোনও নারীই তাঁকে হত্যা করবে। তবে, সেই নারী সাধারণ হবেন না। তাঁর অনাবদ্ধকে আবদ্ধ
করা ক্ষমতা থাকবে। এই বর পাওয়ার পরই দুর্গম বেপরোয়া হয়ে দেবলোককে অত্যাচারে অতিষ্ট
করে তোলেন। বাধ্য হয়ে দেবতারা শিবের দ্বারস্থ হন। শিবের নির্দেশে
দেবী পার্বতী এক উগ্র রূপ ধারণ করেন। তিনি দুর্গমের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। বিন্ধ্যাচলে
১০ দিন ধরে এক মহাযুদ্ধ চলে। সেই যুদ্ধে দেবী দুর্গমের অসংখ্য সৈন্যকে হত্যা করেন।
অবশেষে বধ করেন দুর্দমনীয় অসুরকেও। দুর্গম নিধনের জন্যই দেবী কালীকা ‘দুর্গা’ নামে
পরিচিত হন।
সংস্কৃত অভিধান ‘শব্দকল্পদ্রুম’ অনুযায়ী, ‘দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা
বা প্রকীর্তিতা’। যার বাংলা তর্জমা করলে- যিনি 'দুর্গ' নামে অসুরকে হত্যা করেছিলেন,
তিনিই 'দুর্গা' নামে পরিচিতা। আবার শাস্ত্রমতে দেবলোকের দুর্গতি নাশ করার জন্য মহামায়ার
নাম হয়েছিল দুর্গা।
সংস্কৃতে 'দুর্গা' শব্দের অর্থ- 'দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ। উকারো
বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত। রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ। ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ
পরিকীর্তিত।' যার বাংলা হল- দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুকে যিনি নাশ করেন, তিনিই
দুর্গা। শাস্ত্রমতে, দেবীর 'দ' অক্ষর দৈত্যবিনাশের প্রতীক। 'উ'-কার অক্ষর বিঘ্ননাশের
প্রতীক। 'র'- রোগ নাশের প্রতীক। 'গ'- অক্ষর পাপনাশের প্রতীক। এছাড়া 'অ'-কার অক্ষর
শত্রুনাশের প্রতীক।
EfXnRCxW
Jul 24, 2023 08:44 [IST]endulky
Jun 13, 2023 03:39 [IST]igniguaps
May 07, 2023 21:18 [IST]