রাত পোহালেই মহালয়া। ভোরের শিউলির সুবাস, শরতের হিমের পরশ আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ‘মহিষারসুরমর্দিনী’ জানান দিয়ে যায় মা এসে গেছেন। এদিন পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে শুরু হয় দেবীপক্ষের। এদিন পিতৃপুরুষকে জল দেওয়ার রীতি রয়েছে। বহু মানুষ তর্পণ করেন এই বিশেষ দিনে। হিন্দু ধর্মে মহালয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। 

কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর ছিলেন অমর। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে পরাজয় নিশ্চিত ছিল তাঁর। অন্যদিকে অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা কোনও কূল পাচ্ছিলেন না, সে সময় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। আর তিনিই হলেন মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতা প্রদত্ত ১০ অস্ত্রে রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে অসুর নিধন করেন সিংহবাহিনী। তাই এককথায় বলা যায় দুর্গাপুজো হল অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির সূচনা। মহালয়ার দিনই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। তবে এই দিন অন্য এক দেবীর আরাধনা করা শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। দেখে নিন দেবীর কোন রূপের আরাধনা করবেন-

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পুজোর সময় মেট্রোর সময়সূচি

আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: পুজোর উপহারেও থাকুক নতুনত্বের ছোঁয়া, রইল তারই বেশ কিছু হদিশ

মহালয়া সাধারণত অমাবস্যা তিথিতে হয়ে থাকে। আর অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন মা কালী। আর তাই মহালয়ার মতো শুভ দিনে মা কালীর পুজো করা খুবই ভাল। মহালয়ার এই শুভদিনে, শুভক্ষণে মা কালীর আরাধনা করলে মায়ের কৃপায় শুভ ফল পাওয়া যায়। তাহলে আগামীকাল অবশ্যই পুজো দিন মায়ের।